Dhaka ১০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুরে আনারসের কর্মীদের হামলায় একজন আহত

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৪৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • ৪৭০ Time View

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ

মাদারীপুরে নির্বাচনী আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী শাহআলম আকন নামের এক যুবকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ হায়দার কাজীর অনুসারী আনারস প্রতীকের কর্মী বেলায়েত, রবিউল গংদের বিরুদ্ধে। ৪ মে শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক নৌ মন্ত্রী সদর আসনের এমপি শাজাহান খান এবং অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম। সদর উপজেলা নির্বাচনে শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিব খান আনারস প্রতীক ও মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নাছিম গ্রুপের অনুসারী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক খান উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। ঝাউদি এলাকায় শফিক খানের মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদার ও আসিব খানের আনারস প্রতীকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্যবসায়ী হায়দার কাজী।
এরেই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে হায়দার কাজীর অনুসারী বেলায়েত, রবিউল গং লোকজন নিয়ে শাহআলম আকনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। দুপুরের পরে পুনরায় হামলার প্রস্তুতির খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিউল শেখের পিতা আবু আলী শেখের ঘরের মধ্যে থেকে দেশীয় অস্ত্র ৩টি ঢাল ও ৪/৫টি টেঁটা উদ্ধার করে।

জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হায়দার কাজী আমাদের মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মিদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আজ আমাদের কর্মী শাহআলমকে হত্যার উদেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে হায়দার কাজীর লোকজন। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ঘটনার সাথে জড়িত সকলের কঠিন বিচার চাই।

ভুক্তভোগী শাহআলম আকন বলেন, উপজেলা নির্বাচনে আমি মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচন করছি, কয়দিন ধরে হায়দার কাজী ও তার লোকজন আমাকে হুমকি ধামকি দিতে ছিল। আজ সকালে বাড়িতে আসার সময় বাদল মাদবর বেলায়েত, রবিউলসহ কয়েকজন আমার সাথে ধাক্কা ধাক্কি করে। এ ঘটনার পরে আমি বাড়ি যাই। সকাল সাড়ে দশটার দিকে আমাদের বাড়ির সামনে দোকানে গেলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী বেলায়ত, রবিউল, বারেক, লিটন, খোকনসহ আরও কয়েকজন আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাকে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করে। রবিউল আমাকে ছেনদা দিয়ে মাথার উপরে কোপ মারে। এতে আমার মাথায় ৮টি সেলাই লাগে। বেলায়েত আমার মাথার পিছনে কোপ মারে। এবং বাকি সবাই আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ সালাউদ্দিন জানান, উক্ত ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি।ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এবং অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Nazmul Haque

ছবি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নারীর মৃ/ত্যু, ১১ মাসের শিশুর অঙ্গ/হানী

মাদারীপুরে আনারসের কর্মীদের হামলায় একজন আহত

Update Time : ১২:৪৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ

মাদারীপুরে নির্বাচনী আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী শাহআলম আকন নামের এক যুবকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ হায়দার কাজীর অনুসারী আনারস প্রতীকের কর্মী বেলায়েত, রবিউল গংদের বিরুদ্ধে। ৪ মে শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক নৌ মন্ত্রী সদর আসনের এমপি শাজাহান খান এবং অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম। সদর উপজেলা নির্বাচনে শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিব খান আনারস প্রতীক ও মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নাছিম গ্রুপের অনুসারী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক খান উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। ঝাউদি এলাকায় শফিক খানের মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদার ও আসিব খানের আনারস প্রতীকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্যবসায়ী হায়দার কাজী।
এরেই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে হায়দার কাজীর অনুসারী বেলায়েত, রবিউল গং লোকজন নিয়ে শাহআলম আকনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। দুপুরের পরে পুনরায় হামলার প্রস্তুতির খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিউল শেখের পিতা আবু আলী শেখের ঘরের মধ্যে থেকে দেশীয় অস্ত্র ৩টি ঢাল ও ৪/৫টি টেঁটা উদ্ধার করে।

জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হায়দার কাজী আমাদের মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মিদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আজ আমাদের কর্মী শাহআলমকে হত্যার উদেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে হায়দার কাজীর লোকজন। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ঘটনার সাথে জড়িত সকলের কঠিন বিচার চাই।

ভুক্তভোগী শাহআলম আকন বলেন, উপজেলা নির্বাচনে আমি মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচন করছি, কয়দিন ধরে হায়দার কাজী ও তার লোকজন আমাকে হুমকি ধামকি দিতে ছিল। আজ সকালে বাড়িতে আসার সময় বাদল মাদবর বেলায়েত, রবিউলসহ কয়েকজন আমার সাথে ধাক্কা ধাক্কি করে। এ ঘটনার পরে আমি বাড়ি যাই। সকাল সাড়ে দশটার দিকে আমাদের বাড়ির সামনে দোকানে গেলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী বেলায়ত, রবিউল, বারেক, লিটন, খোকনসহ আরও কয়েকজন আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাকে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করে। রবিউল আমাকে ছেনদা দিয়ে মাথার উপরে কোপ মারে। এতে আমার মাথায় ৮টি সেলাই লাগে। বেলায়েত আমার মাথার পিছনে কোপ মারে। এবং বাকি সবাই আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ সালাউদ্দিন জানান, উক্ত ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি।ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এবং অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।