কাউন চাষ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে রংপুর ব্যুরো প্রকাশিত: ৯:৪৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২১ | আপডেট: ৯:৪৯:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২১ দিনাজপুর অফিস- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা সহ উত্তরাঞ্চলে এক সময় প্রচুর কাউন চাষ হতো। আবার এক সময় গরিবের প্রধান খাদ্যও ছিল এ কাউন। দিনের পর দিন মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষের অবস্থারও পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে এখন আর সেভাবে এসব অঞ্চলে কাউন চাষ হয় না। কাউনের জায়গা দখল করে নিয়েছে বাদাম, ভূট্টা, বোরো ধানসহ বিভিন্ন প্রকার অর্থকারি ফসল। কালের আবর্তে কাউন চাষ হারিয়ে গেলেও নিজেদের খাওয়ার জন্য দিনাজপুরের বীরগঞ্জ-খানসামা এলাকায় কয়েকজন কৃষক কাউন চাষ করেন। কাউন চাষ তেমন দেখা না গেলেও কাউনের চালের নানা ধরনের খাবার ধনীদের বিলাসী খাবারে পরিণত হয়েছে। বীরগঞ্জের শতপ্রাম ইউনিয়নের গড়ফতু গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান জানায়, তিনি এলাকার আত্রাই নদীর পাশের জমিতে কাউন চাষ করছেন, এটা চাষ করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে বললেন । মজিবর রহমান ছাড়াও উপজেলায় কয়েক জায়গায় হাতেগোনা কয়েকজন কাউনের চাষ করেন। কাউন চাষে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে এবং কাউন গাছ থেকে জমির ভালো কম্পোষ্ট সার তৈরি হয়। কাউনের চাল বর্ণে হলুদ। এর চালের ভাত খেতে খুবই সুস্বাদু। ছোট দানাবিশিষ্ট কাউন চালের পায়েসের স্বাদ দারুণ। এ ছাড়া এ চাল দিয়ে নানা ধরনের খাবারও তৈরি করা যায়। মিষ্টান্ন পায়েস, ক্ষির ও ঝাল খাবার হিসেবে খিচুরি, পোলাও রান্নায় কাউন চাল এখন ধনীদের প্রিয় বিলাস খাবার। বীরগঞ্জ কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু রেজা মো.আসাদুজ্জামান ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাক আহম্মেদ জানান, ছোট দানাবিশিষ্ট কাউন প্রায় সব ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়। তবে পানি জমে না এমন বেলে দো-আঁশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয়। আগের মতো এখন আর কাউন চাষ করা হয় না কৃষকরা তবে বিলুপ্তি প্রায় এই শস্যটি আগামি মৌসুমে উৎপাদনের ও ঐতিয্য ধরে রাখতে কৃষক পর্যায়ে সর্বাত্তক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। আরও পড়ুন একজনের আনন্দ অন্যের অসুবিধার কারন যেন না হয়— পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলা বরগুনার আমতলী উপজেলার তরমুজ চাষিদের দশ গুণের লাভের তরমুজে এখন কৃষকরা আসল নিয়ে দুচিন্তায়।