দশমিনা (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ॥
আর্ধবার্ষিকী পরিক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে একটি সেচ পাম্পের ওপর পরে গিয়ে হাত হারাতে বসেছেন পটুয়াখালীর দশমিনা সরকারী আব্দুর রসিদ তালুকদার কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার(১৬)। শুক্রবার দশমিনা সরকারী আব্দুর রসিদ তালুকদার কলেজ সংলগ্ন সবুজবাগ এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
আহত সাদিয়া দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের যৌথা গ্রামের জাকির মৃধার মেয়ে। এঘটনায় সাদিয়ার সহপাঠি ও শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনায় জড়িত ব্যাক্তির বিচার দাবী করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার কলেজে অর্ধবার্ষিকী বাংলা প্রথম পত্র পরিক্ষা শেষে দশমিনা সবুজবাগ এলাকার খালপাড়ের কাচা সড়ক দিয়ে সাদিয়া ও তার দুই সহপাঠি নাবিল হোসেন ও জান্নাতুল মাওয়া বাড়ি ফিরছিলেন এসময় কাচা সড়কে রাখা পানির সেচ পাম্পের ওপর পরে তার ডান হাতের হাড় চুর্নবিচুর্ন হয়ে যায়। সাদিয়ার সাথে থাকা সহপাঠি নাবিল হোসেন ও জান্নাতুল মাওয়া জানান, সড়কে চালু করে রাখা পানির সেচ পাম্পের কাদা নর্দমায় আছাড়ে পরে সেচ পাম্পের পাখায় সাদিয়ার হাত ঢুকে যায়।
পরে তাদের ডাক চিৎকারে কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এসে সাদিয়াকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করেন। কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মোঃ জাফর হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ওই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কলেজের শত শত শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন, সেই সড়কের মাঝে অবৈধ ভাবে একটি পানির সেচ পাম্প চালু দিয়ে রাখায় সাদিয়ার মত মেধাবী শিক্ষার্থী পঙ্গু হতে বসেছে। এবিষয়ে দশমিনা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আলভি জানান, সাদিয়ার ডান হাতের হাড় ভেঙে চুর্নবিচুর্ন হয়ে গেছে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসা না পেলে মেয়েটি চীর দিনের জন্য তার হাত হারাতে পারেন।###