মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কাজী বাড়ির তিন বোন নাসিমা কাজী (৭০), সালমা কাজী (৬০), আসমা কাজী (৫৮) ও দুই ভাই হুমায়ন কবির কাজী ও খায়রুর আলম কাজী এবং ভাইয়ের স্ত্রী কমল বেগম (৭৫) ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি বেড়ানোর উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। তাদের আর বাড়ি ফেরা হয়নি। ঘটনা স্থলেই তিন বোন নাসিমা কাজী (৭০), সালমা কাজী (৬০), আসমা কাজী (৫৮) ভাইয়ের স্ত্রী কমল বেগম (৭৫) নিহত হয়। দুই ভাই হুমায়ন কবির কাজী ও খায়রুর আলম কাজী গুরুতর আহত হন। নিহতদের ৪জন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপাপুর এলাকার বাড়ির সদস্য। এ সময় মাইক্রোবাসের সম্মুখভাগ দুমড়ে মুচড়ে যায়।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২০ মার্চ) সকালে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ডোমরাকান্দিতে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের চার জন নিহত হয়েছেন। এ সময় ওই পরিবারের আরও দুই সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, ঈদ উপলক্ষ্যে মাইক্রোবাসে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ গোপালপুরে আসছিলেন তারা। বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা গেøাবাল পরিবহবনের একটি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মাইক্রোবাসের। এতেই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের ভাতিজা কাজী সোহেল বলেন, আমার চাচা ও ফুফুসহ ৭জন ঢাকা থেকে বাড়িতে আসছিলো। পথেই সড়ক দুর্ঘটনায় তিন ফুফু ও চাচি মারা যায়। মুলত দ্রæত গতির কারনেই এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহতদের আরেক ভাতিজা কাজী আসাদ বলেন, আমার তিন ফুফু ও চাচী মারা গেছে গেøাবাল পরিহনের কারনে। এরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই গ্রæত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল। একরনেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা পরিবহন সংশ্লিষ্ঠদের বিচার চাই।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের এসআই নোমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৫জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩জন। শুনেছি নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ৪জন রয়েছে।