সন্তান জন্মের সময় প্রসূতি মায়েদের ব্যথা উপশমের জন্য ব্যবহার করা হয় ‘জি-পেথিডিন’ ইনজেকশন। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ ইনজেকশনই দীর্ঘদিন ধরে নকল করে বাজারজাত করে আসছে একটি চক্র। ১০ টাকার ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে তৈরি পেথিডিন নামের ভুয়া ওষুধটি তৈরি করে ৬০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতেন তারা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর মিন্টোরোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
মতিঝিল গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ এরশাদুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আলমগীর খাঁন, মো. মাসুদ রানা, মো. আহ্সান হাবীব শাওন।
এসময় ২০০টি জি-পেথিডিন ইনজেকশন, ২২০টি জি-পেথিডিনের এ্যাম্পুল, ১ হাজার ১০টি জি-ডায়াজিপাম এর এ্যাম্পুল, ৫২০টি জি-পেথিডিন এর ফাঁকা বক্স, ২০০টি জি-পেথিডিন ইনটেক স্টিকার, ২টি (১২ কেজি) জি-পেথিডিন ফয়েল পেপার, ১ হাজার ৫০০টি জি-পেথিডিন এর ব্যবহারবিধি, ১টি জি-পেথিডিনের ফয়েল লাগানোর জন্য লোহার চাপ মেশিন, ৫ কেজি এসিড, ৫টি কাঠ ও প্লাস্টিক দিয়ে বিশেষ ভাবে তৈরি স্কিন প্রিণ্ট করার ফ্রেম, ২৫০টি জি-পেথিডিন রাখার প্লাস্টিকের ট্রে জব্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, অত্যন্ত সংবেদনশীল এই ওষুধ অপারেশনের সময় বা অপারেশনের পরে চিকিৎসকরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ব্যবহার করেন। প্রচলিত ‘জি-ডায়াজিপাম’ ঘুমের ইনজেকশনকে ঘরোয়াভাবে রূপান্তর করে চেতনানাশক ‘জি-পেথিডিন’ ইনজেকশন হিসেবে বাজারজাত করতেন চক্রটি। -সূত্র: