পুঠিয়া শিব মন্দিরটি উপমহাদেশের বৃহত্তম শিব মন্দির। বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় অবস্থিত, এটি দেশের সবচেয়ে দামি পাথরের তৈরি সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গ রয়েছে। প্রাচীন ঐতিহাসিক মন্দিরের দেয়াল বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী দ্বারা শোভিত। মন্দিরে এখনও পূজা হয়।
পুঠিয়া শিব মন্দিরের নির্মাণ কাজ পুঠিয়া রাজপরিবার দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। রাজা জগনারায়ণের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী রানি ভুবনময়ী দেবী মন্দিরটি নির্মাণ করেন। রানী ভুবনময়ী দেবীর নামানুসারে এটি ভুবনেশ্বর মন্দির নামেও পরিচিত। 1823 থেকে 1830 সালের মধ্যে নির্মিত, মন্দিরটি ভারতীয় পাথর এবং ইট ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছিল। নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। মন্দিরের স্থাপত্যের চার দিকেই সুন্দর বারান্দা রয়েছে, যার মধ্যে জটিল খোদাই এবং মূল কাঠামোর উপরে একটি ধাতব মুকুট রয়েছে।
প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে, শিব মন্দিরে গঙ্গা জল অর্পণ অনুষ্ঠান হয়, যেখানে শিবলিঙ্গে জল নিবেদন করতে সারা দেশ থেকে ভক্তরা অংশগ্রহণ করে। পুঠিয়া শিব মন্দিরে পৌঁছানোর জন্য, যাত্রীরা প্রথমে রাজশাহী জেলায় পৌঁছাতে পারে এবং তারপরে পুঠিয়া পৌঁছানোর জন্য বাস, ট্রেন বা ফ্লাইটের মতো পরিবহনের বিভিন্ন উপায় নিতে পারে।
আবাসনের বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে রাজশাহী সিটি বা পুঠিয়াতে থাকা যেখানে বিভিন্ন বাজেটের জন্য বিভিন্ন হোটেল পাওয়া যায়। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন মোটেল তাদের জন্য কাছাকাছি রয়েছে যারা সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের জন্য রুমের ভাড়া 1900 টাকা থেকে শুরু করে। এলাকার অন্যান্য হোটেলের মধ্যে রয়েছে নাইস ইন্টারন্যাশনাল, মুক্তা ইন্টারন্যাশনাল, ডালাস ইন্টারন্যাশনাল এবং শাকরান হোটেল। প্রতিটি হোটেল ভ্রমণকারীদের জন্য বিভিন্ন রুম বিকল্প এবং সুবিধা প্রদান করে।
পুঠিয়াতে জেলা পরিষদের ২ টি ডাকবাংলো আছে। ইচ্ছে করলে এখানে থাকতে পারেন। তবে এর জন্য জেলা পরিষদের অনুমতি নিতে হবে এবং নির্ধারিত ভাড়া প্রধান করতে হবে। জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার ফোন নাম্বার: ০৭২১-৭৭৬৩৪৮। এছাড়া পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ড এর কাছে কিছু আবাসিক হোটেল আছে। সেখানেও থাকতে পারেন।
অথবা রাজশাহী শহরে এসেও থাকতে পারেন। রাজশাহী শহরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল আছে। ভাড়া ৫০০/৩,৫০০ টাকা। তাদের মধ্যে কয়েকটির তত্ত্ব নিচে দেয়া হলো।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন মোটেল
রাজশাহী চিড়িয়াখানার পাশেই এর অবস্থান। ঢাকা থেকেই এর বুকিং দেয়া যায়। ভাড়া: সিঙ্গেল এসি রুম ১,৯০০ টাকা, ডাবল এসি রুম ২,৬০০ টাকা, সুইট ৪,৬০০ টাকা। যোগাযোগ: ০২-৮৮৩৩২২৯, ০২-৮৮৩৪৬০০ (ঢাকা), ০৭২১-৭৭৫২৩৭ (রাজশাহী)
হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল
গণকপাড়ায় এর অবস্থান। যোগাযোগ: ০৭২১-৭৭৬১৮৮
হোটেল মুক্তা ইন্টারন্যাশনাল
সাহেব বাজারে এর অবস্থান। যোগাযোগ: ০৭২১-৭৭১১০০
হোটেল ডালাস ইন্টারন্যাশনাল
বিন্দুর মোড়ে এর অবস্থান। যোগাযোগ: ০৭২১-৮৮১১৪৭০
হোটেল শুকরান
মালোপাড়ায় এর অবস্থান। যোগাযোগ: ০৭২১-৭৭১৮১৭