Dhaka ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার খতনা করাতে যাওয়ায় প্রাণ গেল আইডিয়াল শিক্ষার্থীর

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৫০:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৪৮ Time View

অনলাইন ডেস্ক: ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর রেশ কাটকে না কাটতেই আরও এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে খতনা করাতে গিয়ে মতিঝীল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিন আয়হামের (১০) মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়েছে। যে কারণে আহনাফকে আর জ্ঞান ফেরেনি।

 

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় আহনাফকে সুন্নতে খাতনা করাতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরেরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে সন্তানকে সুন্নতে খতনা করাতে নেন আহনাফের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়েরা নাহার।

 

 

রাত ৮টার দিকে খতনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙে না আহনাফের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে আহনাফের বাবা ফখরুল আলম বলেন, “আমরা চিকিৎসককে বলেছিলাম যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়।” তারপরও আমার ছেলের শরীরে সেটি পুশ করেন ডা. মুক্তাদির। আমি বারবার তাদের পায়ে ধরেছি। আমার ছেলেকে যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “আমার সন্তানকে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।” এই মৃত্যুর দায় মুক্তাদিরসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবাই। আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।

 

এদিকে ঘটনার পরে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে উৎখাত হয়ে যান অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মুক্তাদির। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের জয়েন্ট, ব্যথা, বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরিচিত ছিলেন।

 

এ বিষয়ে জানতে জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

 

এর আগে, গত ৮ জানুয়ারিতে রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা সাতদিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

gm news

মামলা করায় বাদীর পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ

এবার খতনা করাতে যাওয়ায় প্রাণ গেল আইডিয়াল শিক্ষার্থীর

Update Time : ০১:৫০:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক: ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর রেশ কাটকে না কাটতেই আরও এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে খতনা করাতে গিয়ে মতিঝীল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিন আয়হামের (১০) মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়েছে। যে কারণে আহনাফকে আর জ্ঞান ফেরেনি।

 

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় আহনাফকে সুন্নতে খাতনা করাতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরেরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে সন্তানকে সুন্নতে খতনা করাতে নেন আহনাফের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়েরা নাহার।

 

 

রাত ৮টার দিকে খতনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙে না আহনাফের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে আহনাফের বাবা ফখরুল আলম বলেন, “আমরা চিকিৎসককে বলেছিলাম যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়।” তারপরও আমার ছেলের শরীরে সেটি পুশ করেন ডা. মুক্তাদির। আমি বারবার তাদের পায়ে ধরেছি। আমার ছেলেকে যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “আমার সন্তানকে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।” এই মৃত্যুর দায় মুক্তাদিরসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবাই। আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।

 

এদিকে ঘটনার পরে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে উৎখাত হয়ে যান অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মুক্তাদির। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের জয়েন্ট, ব্যথা, বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরিচিত ছিলেন।

 

এ বিষয়ে জানতে জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

 

এর আগে, গত ৮ জানুয়ারিতে রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা সাতদিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান।