ঝালকাঠিতে যুবলীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ষ,আহত ৫,
মোঃ শাহাদাত হোসেন মনু মোঃ শাহাদাত হোসেন মনু
সিনিয়র সাংবাদিক

ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের দুই গ্রæুপের সংঘর্ষে উভয় গ্রæপের ৫জন আহত হয়েছেন। আহদের মধ্যে ৩ জন বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং অপর দু’জন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে শহরের পোস্ট অফিসের সামনে এঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকটি মটোরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হরতাল-অবরোধ বিরোধী মহড়া দেয়। এক পর্যায়ে পোস্ট অফিসের সামনে গেলে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করীম জাকির এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ মিলন সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটিহয়। এক পর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু, হারুন হাওলাদার ওরফে টাইগার হারুন, সাগর ও মামুনুর রশিদ মামুন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত মামুনুর রশিদ জানান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করীম জাকির ও যুবলীগ নেতা কামাল শরীফের নেতৃত্বে আমরা হরতাল-অবরোধ বিরোধী মহড়া শেষে পোস্ট অফিসের সামনে হোটেলে নাস্তা করছিলাম। সামনে জটলা দেখে নাস্তা শেষ করে বের হবার সাথে সাথে মুখোশধারী কয়েকজনে হামলা চালায়। তবে তাদের আমি চিনতে পেরেছি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু জানান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন (সৈয়দ মিলন) ভাইর নেতৃত্বে জামায়াত-বিএনপি আহুত হরতাল – অবরোধ বিরোধী মহড়া শেষে ফায়ার সার্ভিস মোড় দিয়ে ডাক্তারপট্টি যাচ্ছিলাম। পোস্ট অফিসের সামনে গেলেই আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। আমরা এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, সকালে যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।