শেখের বেটির উছিলায় মুই পাকা ঘর পারছি। মুই শেখের বেটির জন্য দোয়া হরি।

আল নোমান আল নোমান

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২৩ | আপডেট: ১২:০৭:পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২৩

শেখের বেটির উছিলায় মুই বুড়া বয়সে পোলা লইয়্যা শান্তিতে ঘুমাইতে পারমু। মুই হারা জীবন ভাঙ্গা ঘরে আলহাম। বইন্ন্যা আর দেউইতে মুই পোলাডারে লইয়্যা কষ্ট হরছি। এ্যাহন শেখের বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোরে থাহার লইগ্যা একটা ইডের ঘর দেছে। হেই ঘরে মুই পোলা লইয়্যা থাকতে পারমু। এ্যাহন আর মোর দেওইয়্যার ডর নাই। শীতে আর কষ্ট হরতে অইবে না। মুই শেখের বেটির জন্য দোয়া হরি যেন আল্লায় হ্যারে অনেক বচ্ছর বাচাইয়্যা রাহে। তিনি আরো বলেন, ইউএনও স্যারের লইগ্যাও মুই দোয়া হরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে “গ্রাম হবে শহর” প্রকল্পের ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বুধবার ছেলে হানিফের কোলে জমির দলিল ও ঘরে চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের ৯০ বছর বয়সি প্রতিবন্ধি বৃদ্ধা আলেয়া বেগম এ কথা বলেছেন।
জানাগেছে, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর তালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় “প্রত্যেকের জন্য বাড়ী, গ্রাম হবে শহর” এমন ঘোষনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষনার পর আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের ঘর ও জমি দেয়ার উদ্যোগ নেন। এ প্রকল্পের অধিনে আমতলী উপজেলার চার ধাপে ৬৬৭ হতদরিদ্র, ভুমিহীন,অস্বচ্ছল ও প্রতিবন্ধি পরিবার পাকা ঘর ও জমির দলিল পান। প্রধানমন্ত্রীর এমন মহতী উদ্যোগে উপজেলার ৬৬৭ পরিবার মাথা গোঁজার ঠাই পেয়েছেন। উপজেলার সকল অস্বচ্ছল, ভুমিহীন ও প্রতিবন্ধিদের মাঝে গৃহ ও জমি দেয়ার দাবী জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা মাজেদা বেগম, খাদিজা ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের মুনসুরা বেগম, আল-আমির ও ফাতেমা বলেন, জীবনে স্বপ্নেও দেখি নাই পাকা ঘরে থাকবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পাকা ঘর ও জমির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সারা জীবন প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবো এবং পাশে থাকবো।

Print Friendly, PDF & Email