
রওশন আরা শিলা, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ-
নওগাঁর আত্রাইয়ে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় জনসাধারনের মাঝে অস্বস্তি অনেকটা অসন্তষ্টিতে পরিনত হয়েছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে উপজেলার হাটবাজার গুলোতে মরিচের দাম দফা দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে।ভরা মৌসুমে কেন এতো দাম? এ প্রশ্ন রেখে ক্রেতাসহ প্রান্তিক চাষিরাও জীবনে এই প্রথম কাঁচা মরিচের দাম দেখে হতবাক হয়েছেন।রহিমুদ্দিন ও আফজাল হোসেন মরিচ চাষিরা জি এম নিউজ কে জানিয়েছেন,গত কয়েকদিন আগে টানা খরা ও বৃষ্টির কারণে মরিচের গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল,পাতা কুঁকড়ে গিয়েছিল।
যে পরিমাণ গাছে ফুল আসার কথা তা হয়নি। ফলে এই সময়ে যে পরিমান ফলন হওয়ার কথা তা হয়নি।চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কম হওয়ায় বেশি বলে জানিয়েছেন কৃষক।জানা যায়, উপজেলার অধিকাংশ হাটবাজার গুলোতে কাঁচা মরিচ বর্তমান বাজার 420-450 টাকা কেজি বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার(6জুলাই) আহসানগঞ্জ হাটে কিছুটা কমে 400-350 টাকা প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিত্রি হচ্ছে। এদিকে কাঁচা মরিচের সাথে আদা-রসুন, পেঁয়াজ এর দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার মনিটরিংয়ের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন নিন্ম ও মধ্যবিত্ত জনসাধারণ।
আহসানগঞ্জ হাটে ক্রেতা ভাদর পাড়ার গ্রামের লুৎফর রহমান জি এম নিউজ কে জানান টানা খরা ও বৃষ্টির কারণে উৎপাদন কমেছে। তাই চাহিদার তুলনায় বাজারে আমদানি নেই। সাধারণ ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম বলেন,সোমবার সমসপাড়া হাটে 600 টাকা ও বুধবার বাগমাড়া মোকাম 500 টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করেছি। অনেক কষ্টে বাগমারা শিকদারী এলাকা থেকে পাঁচ কেজি মরিচ 1800 টাকা দিয়ে এনেছি। তবে আশা করা যাচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যে মরিচের বাজার স্বাভাবিক হবে।সাহেবগঞ্জ বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক ও জামাল উদ্দিনজি এম নিউজ কে বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের আমদানি খুবই কম।তাই দাম চড়া, দুই দিন ধরে মরিচ নেই। মরিচ চাষি বাগমারা গ্রামের ছইমুদ্দিন বলেন, টানা খরার কারনে 15 দিন আগেই 20 শতক জমির মরিচ নষ্ট হয়েগেছে।
কিছু কৃষকের মরিচ থাকলেও অতিরিক্ত খরার কারণে ফলন হয় নাই। এখন বৃষ্টি হওয়ার কারণে গাছে জোয়ার আসছে। এই ফল পাওয়া গেলে তখন দাম কমতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখাশুনা করা হচ্ছে। কোনো ব্যবসায়ী কাঁচা মরিচসহ কাঁচা পণ্যের অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#