বরগুনার আমতলীতে বিচারের নামে ১০ ছাত্রীকে মারধোর করে মলমূত্র খাওয়ানো হয়েছে।

আল নোমান আল নোমান

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ৬, ২০২৩ | আপডেট: ১২:২৯:পূর্বাহ্ণ, জুন ৬, ২০২৩

আমতলী শহরের মাদানীনগর জামিয়া সাইয়েদা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রসার শিক্ষক তাসলিমা বেগম, তার স্বামী আব্দুর রশিদ, ছেলে তাইয়েবা ও মেয়ে নুসরাত এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমতলীর উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। ওই ঘটনায় ৩ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। নির্যাতনের শিকার ছাত্রীরা হলো জামিলা, জান্নাতুল, ফেরদৌসী, মারিয়া ইসলাম, রুবাইয়া, সাদিয়া, মারহামা, মারুফা, নুসাইবা ও নাজরানা। তারা সকলে হেফজো বিভাগের আবাসিক ছাত্রী।
ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও অন্যতম অভিযুক্ত মাওলানা আব্দুর রশিদ ১০ ছাত্রীকে মলমুত্র খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, গত শুক্রবার রাতে মোবাইলে আমার (আব্দুর রশিদের) মেয়ে নুসরাতের ছবি তোলায় শনিবার তাদের বিচার করেছি এবং ওই ছাত্রীদের মাদ্রাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি।
নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীরা জানিয়েছে, ছবি তোলার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যে।
এ ঘটনায় ছাত্রীদের অভিভাকরা বোরবার রাতে শিক্ষক তাসলিমা বেগমসহ চারজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। আমতলীর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমতলী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কাংখিতা মন্ডল জানিয়েছেন, সোমবার সকালে মাদ্রাসায় পড়ুয়া তিন ছাত্রীকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#

Print Friendly, PDF & Email