ঝালকাঠিতে আটক বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীসহ প্রায় ২’শ জনের নামে পুলিশের মামলা

প্রকাশিত: ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩ | আপডেট: ৮:৩০:পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩

ঝালকাঠিতে শনিবার দুপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর আটক ১৬ জনসহ জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের প্রায় দুইশ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে বিএনপির কর্মসূচীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে সদও থানার ওসিসহ ৩পুলিশ ও বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় সদর থানার এসআই দেবাশীষ মোদক বাদী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে শনিবার রাতে মামলা (নং-২১, তারিখ-২৫-০২-২৩ইং) দায়ের করেন।
শনিবারে দুপুরে আটককৃত বিএনপি কর্মী শামীম মৃধা, জহিরুল ইসলাম মামুন, আবুল হাসান, আনোয়ার হোসেন, সজিব হোসেন, হাফিজুর রহমান নয়ন, ফরিদ হাওলাদার, সিদ্দিকুর রহমান, ছাত্রদল নেতা তৌহিদ হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আনিচুর রহমান খান, বিএনপি কর্মী রুস্তম শরীফ, শাহজালাল মিঠু, আব্দুল কুদ্দুস, মো. হিমেল হাওলাদার, আদিফ হাসান, মনির হোসেনকে। পলাতক উল্লেখ করে আসামী করা হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহŸায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, সদর উপজেলা সভাপতি এজাজ হাসান, পৌর সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান, যুবদল আহŸায়ক শামীম তালুকদার, ছাত্রদল সভাপতি আরিফুর রহমান খান, সাধারন সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপুসহ ২২জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত একশ/দেড়শ জনকে এতে আসামী করা হয়।
উল্লেখ্য, বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের আমতলা গলি রোডস্থ জেলা বিএনপি জেলা কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হয় নেতাকর্মীরা। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হৈাসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেনসহ আরো অনেকে। পরে পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তিতে একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে রাস্তায় নামলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে বিএনপির নেতা কর্মীরা ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে সদর থানার ওসি (অপারেশন) ফিরোজ কবীরের মাথায় ইট পড়ে ফেটে যায় ও এসআই নজরুল ইসলাম ও এসআই শফিকুল ইটের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আহতদের সাথে সাথে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রার কমর্সূচীর অংশ হিসেবে প্রথমে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। পরে পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। নেতাকর্মীরা বাধা উপেক্ষা করে সামনে আগাতে চাইলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ১৬জনকে আটক করে পুলিশ। ওই ১৬জনসহ আমাদের প্রায় দুইশ নেতাকর্মীর নামে/ বেনামে মামলা দেয়া হয়েছে। আটককৃতদের নিশর্ত মুক্তি এবং ন্যাক্কারজনক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, বিএনপির পদযাত্রার নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছিলো। তাদের বাধা দেয়ায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে ওসি (অপারেশন) ফিরোজসহ ৩পুলিশ আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১৬জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ১৬ জনসহ মোট ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনকে আসামী করে এসআই দেবাশীষ মোদক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অপর ২২ আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email