কাঠালিয়ায় পানি শোধন ব্যবস্থা (ফিল্টার) স্থাপনের কাজ স্থগিত
মোঃ শাহাদাত হোসেন মনু মোঃ শাহাদাত হোসেন মনু
সিনিয়র সাংবাদিক

ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার পানি শোধন ব্যবস্থা (পিএসএফ ফিল্টার) স্থাপনে ১টির নির্মাণ কাজ স্থগিত রয়েছে। উপকুলীয় এ উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ১৮টি পানি শোধন ব্যবস্থা(পিএসএফ ফিল্টার)’র মধ্যে ১৭টি স্থাপনের স্থাপনের নির্মাণ কাজ প্রায় অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয়দের রশি টানাটানিতে স্থগিত হয়ে থাকা বিরোধীয় পানি শোধন ব্যবস্থা (পিএসএফ ফিল্টার) স্থাপনের কাজ শিঘ্রই পুনরায় শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জানাগেছে, উপকুলীয় কাঠালিয়া উপজেলার চেচরীরামপুর ও পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের গভীর নলক‚পেও ওঠে লবণ পানি। এ সব এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট। এ সংকট সমাধানের লক্ষে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর উপজেলার চেচরীরামপুরে ৯টি, পাটিখালঘাটা ৮টি ও সদর ইউনিয়নের ছৈলারচর পর্যটনকেন্দ্রে ১টিসহ মোট ১৮টি পানি শোধন ব্যবস্থা (পিএসএফ ফিল্টার) স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।
চেচরীরামপুর ইউনিয়নের উত্তর চেচরীরামপুর গ্রামে লালন ফকিরের বসতবাড়ির পিছনে সৌরচালিত নির্মাণাধীন পানি শোধন ব্যবস্থা(পিএসএফ ফিল্টার) স্থাপনে জমি নির্বাচন নিয়ে সুবিধাভোগীদের মধ্যে মতবিরোধ হওয়ায় দেখা দিয়েছে বিপত্তি। এ বিষয়ে উপজেলা উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্থানীয় ৪০জন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সুপেয় পানির অভাব পূরণে সরকারের বরাদ্দকৃত লালন ফকিরের নামে সৌরচালিত পিএসএফ ফিল্টার স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। বসতবাড়ির পিছনে এবং টয়লেট সংলগ্ন স্থানে স্থাপন করা হচ্ছে। স্থান পরিবর্তন করে জনস্বার্থে ফকির বাড়ির সামনে ভান্ডারিয়া-কাঠালিয়া সড়কের পার্শে স্থাপনের দাবী জানানো হয় এ আবেদনে।
স্থানীয় আলিম সিকদার, নিখিল দাস, খলিলুর রহমান, হৃদয় সরদারসহ আরো অনেকে জানান, বাড়ির পিছনে, টয়লেটের পাশে, গাছের ছায়ায় ব্যক্তি স্বার্থে পিএসএফ ফিল্টার স্থাপন করা হচ্ছে। জনবহুল এলাকাবাসীর সুবিধার কথা চিন্তা না করে নিজ বাড়িতে স্থাপন করায় ওখান থেকে স্থানীয় জনসাধারন সুবিধা নিতে পারবেন না। বাড়ির পিছন থেকে যখন তখন পুরুষ গিয়ে পানি আনতে পারবে না। আরেক বাড়ির পিছনে গিয়ে অন্য বাড়ির মহিলারাও স্বাভাবিকভাবে পানি নিতে পারবে না। রাস্তার পাশে জনবহুল স্থানে স্থাপন করলে পথচারীদের সুপেয় পানি পান করাসহ বিপুলসংখ্যক জনসাধারন উপকৃত হবে বলেও দাবী করেন তারা।
লালন ফকির জানান, প্রথমে রাস্তার পাশে স্থান নির্বাচন করা হলেও বাধার মুখে ওখানে স্থাপন সম্ভব হয়নি। স্থান দিতে না পারলে পিএসএফ প্লানটি ফেরত যেতো। তাই আমি নিজের সুবিধামতো জায়গায় স্থান দিয়েছি।
কাঠালিয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এইচএম সাইফুর রহমান জানান, পিএসএফ প্লান্ট যেখানে জমি পেয়েছি সেখানেই দিয়েছি। যেখানে রোদ থাকবে সেখানে সৌর সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে। গাছের নীচে প্লান্ট থাকলে তাতে সমস্যা হবে না।
কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, একটা অভিযোগ পেয়েছিলাম, পরে উভয় পক্ষকে ডেকে সমাধান করেছি। ওটা নির্মাণে এখন আর কোন সমস্যা নেই।