সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি, ঝালকাঠি

জি এম নিউজ জি এম নিউজ

বাংলার প্রতিচ্ছবি

প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩ | আপডেট: ৬:২৮:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩

দক্ষিণ বাংলার ঝালকাঠি থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে রাজাপুর উপজেলায় সাতুরিয়া গ্রামে বিখ্যাত এই সাতুরিয়া জমিদার বাড়িটির অবস্থান। ১৭শ শতকে বাংলার বাঘ খ্যাত ‘ফজলুল হক’ এর মাতামহ ইসলামী সাধু পুরুষ শেখ শাহাবুদ্দিন সাতুরিয়ায় ১০০ একর জায়গার উপর এই জমিদার বাড়ী প্রতিষ্ঠা করেন।

 

 

সাতুরিয়া জমিদার বাড়িতে ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন বাংলার বাঘ হিসেবে খ্যাত শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক। ১৭শ শতকে এ জমিদার বাড়িটি স্থাপিত হয়েছিল বলে জানা যায়। এটি ছিল ফজলুল হকের মায়ের বাড়ি। মাতুলালয়ের এ বাড়িতেই ফজলুল হক তার শৈশব পার করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য তিনি এ বাড়ির মক্তবটিই ব্যবহার করেছেন। শৈশব ছাড়াও তিনি এখানে কর্মজীবন ও রাজনৈতিক জীবনের অনেক সময়ই ব্যয় করেছেন।

 

ফজলুল হকের মাতামহ আলী মিয়া এ অঞ্চলে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিই এই জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন করেন বলে ধারণা করা হয়।

 

পুরো জমিদার বাড়িটি ১০০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। জমিদার বাড়িটি ঘিরে রয়েছে পুকুর, বাগান ও কয়েকটি ভবন। মুঘল স্থাপত্য শৈলিতে তৈরি মূল কমপাউন্ডটি ৩টি ভবনের সমন্বয়ে গঠিত। প্রতিটি ভবনের দেয়ালে মুঘলশৈলিতে বিভিন্ন ধরনের নকশা করা রয়েছে। মূল কমপাউন্ডে প্রবেশের জন্য রয়েছে একটি প্রধান প্রবেশপথ। ভবনগুলো নির্মাণে চুন সুরকীর পাশাপাশি ইটও ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমানে জমিদার বাড়িটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়।

 

বর্তমানে এ জমিদার বাড়িতে শেরে বাংলার স্মরণে শেরে বাংলা স্মৃতি পাঠাগারসহ আশে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ বাড়িটি বর্তমানে আলী মিয়ার বংশধরগণ দেখাশুনা করে থাকেন।

 

 

সড়কপথে ঢাকার সায়েদাবাদ বা গাবতলী থেকে বিআরটিসি, উত্তরণ, সুগন্ধা, হানিফ, ঈগল কিংবা সাকুরা পরিবহনে ফেরি পার হয়ে ঝালকাঠি পৌঁছে বাস বা সিএনজি নিয়ে রাজাপুর যেতে হবে। রাজাপুর থেকে রিকশায় সহজেই জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।

 

 

ঝালকাঠির ষ্টেশন রোডে বেশকিছু রেস্তোরা আছে। আর সুযোগ পেলে অবশ্যই ঘোষ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মিষ্টি, রসমালাই এবং সকাল সন্ধ্যা সুইটসের লুচি ও মিষ্টি খেয়ে দেখবেন।

Print Friendly, PDF & Email