পুলিশের নির্দেশনায় মসজিদের মাইকিং, ডাকাত আতঙ্কে গ্রামবাসীর পাহাড়া

প্রকাশিত: ৭:৪২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩ | আপডেট: ৭:৪২:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩

ঝালকাঠি জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে পুলিশের নির্দেশনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে মসজিদে মাইকিং করে ডাকাত আসার খবর দিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। মসজিদে মসজিদে মাইকে হুশিয়ারি প্রচার করায় জনসাধারন আতঙ্কিত হয়ে তীব্র শীত উপেক্ষা করে রাত জেগে পাহাড়া দেয় গ্রামবাসী। নিয়মিত পাহাড়ার পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক পৃথক দলে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় লোকজন বিশেষ পাহাড়ার ব্যবস্থা করে । সেই সাথে পাহাড়াদারদের মনিটরিং করে থানা পুলিশ
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ঝালকাঠি জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় মধ্যরাতে মসজিদে মাইকিং করে ডাকাত আসার খবর দিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে করে অনেক এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এমনকি ডাকাতের খবরে শীতের মধ্যেও অনেকে লাঠি সোটা নিয়ে পাহাড়ায় নেমে পড়েন। এসময় আতঙ্কিতদের চিৎকার চেঁচামেচির শব্দও শোনা যায়। বিষখালী নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা পানু মোল্লা বলেন, মসজিদের মাইক থেকে রাত ২টার দিকে এলাকায় ডাকাত আসার খবর প্রচার করা হয়। মুহুর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। কিছুক্ষণ পর আশপাশের আরও অনেক মসজিদের মাইক থেকেও একই ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, সোয়া ২টা থেকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয় ‘অগণিত ডাকাত এলাকায় প্রবেশ করেছে, সবাই সতর্ক থাকুন’। এতে মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় হইচই পরে যায়। সদর উপজেলার পোনাবালিয়া, দেউরী, দিয়াকুল, গাবখান, সাচিলাপুর, শেখেরহাট, শিরযুগ, গুয়াটনসহ রাজাপুর, নলছিটি ও কাঁঠালিয়ার বিভিন্ন এলাকায়ও মসজিদ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানা জানান, রাজাপুরের পূর্ব কানুদাসকাঠি এলাকার হাট-বাজারে সন্ধ্যার দিকে অপরিচিত কিছু লোক ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় লোকজন। তারাই পুলিশকে ফোন দিয়ে অবহিত করে। এভাবে আরো কয়েকটি জায়গা থেকে অপরিচিত লোকের চলাচল ও গতিবিধি সন্দেহজনক দেখে স্থানীয়রা ফোন দিয়ে আমাকে ও থানা পুলিশকে অবহিত করেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে মসজিদে সতর্কতা মাইকিং করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু যে যেভাবে পারছে সে সেভাবেই মাইকে ঘোষণা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এলাকাভিত্তিক পৃথক দল গঠন করে নিয়মিত পাহাড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এরপরেও যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে এজন্যই বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সতর্ক বার্তা প্রচার করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email