মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে আসামীদের হামলায় সিআইডি’র কর্মকর্তাসহ আহত-২

আরিফ হোসেন আরিফ হোসেন

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ | আপডেট: ২:০৫:পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩

আরিফ হোসেন,বাবুগঞ্জ: বরিশালের বাবুগঞ্জ থানাধীন মীরগঞ্জ ফেরিঘাটের পূর্ব প্রান্তের পল্টনে আসামী ও তার স্বজনদের হামলায় সিআইডি’র (ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট-অপরাধ তদন্ত বিভাগ) কর্মকর্তাসহ দুইজন আহত হয়েছেন।
জেলার মুলাদী উপজেলার চাঞ্চল্যকর মনির হত‍্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামী আব্বাস হাওলাদারকে ধরতে গিয়ে আব্বাস ও তার স্বজনদের হামলায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি’র এস আই রুহুল আমিনসহ দুইজন আহত। আহত অপরজন সিআইডি’র কনস্টেবল আব্দুল হাকিম। আহতরা স্থানীয় একটি ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
এসময়ে সন্দেহভাজন আসামী আব্বাস কে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তার স্বজনরা বলে খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৩০ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে।
হামলার ঘটনা স্বীকার করে আহত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, এব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিস্তারিত জানানো হবে।

বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন , সিআইডি থেকে কিংবা সিআইডি’র কোন সদস্য আমাদের কাছে এখনো কোন অভিযোগ দেননি। তবে সিআইডি’র সদস্যদের ওপর হামলা হয়েছে স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন তথ্য পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল বলেন, আমিও শুনেছি পন্টুনে সিআইডি টিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে যেখানে ঘটনাস্থল সেটি বাবুগঞ্জ থানার আওতায় বলে আমি যাইনি। একজন এস আই পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।

ফেরিঘাট এলাকার ঔষধ বিক্রেতা বাদল হাওলাদার বলেন , আমার দোকান মূলত কনফেকশনারিজের। তবে তার পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কিছু ওষুধ রাখি। সাড়ে ৮ থেকে ৯টার মধ্যে সিআইডি’র দুজন পোশাকধারী লোক দোকানে এসেছিলেন। তাদের হাত ফেটে গেছে। আমি প্রাথমিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি। বাদল বলেন, ওইসময়ে সিআইডি’র দু’জন আমাকে বলেছে তারা আসামী ধরতে আসায় হামলা হয়েছে এবং আসামীও ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন , জেলা সিআইডির এসআই রুহুল আমিন ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম রাত সোয়া ৮টার দিকে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটের ওপারে পল্টনে যান। এই খবর জানতে পেরে মুনির হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন আব্বাসের স্বজনরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় সিআইডির দুইজনের হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। হামলায় অংশ নেন সন্দেহভাজন আব্বাস, তার পিতা আব্দুর রব, ভাই নাসির উদ্দিন, ইদ্রিস, কসির উদ্দিন এবং আব্দুর রশিদ ওরফে হিরা সরদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ মে সকালে মুলাদী উপজেলার চর কমিশনার গ্রামের ঘেরের পাশ থেকে চোখ উৎপাটিত এবং জবাই করা অবস্থায় মনির হাওলাদারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মনির হত্যার ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে দায়েলকৃত মুলাদী থানার হত্যা মামলাটি (মামলা নং-৮/২২,জিআর মামলা নং-৪৪/২২) সিআইডিতে(ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) হস্তান্তরের পর ওই বছরের ৪ জুলাই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় জেলা সিআইডির এসআই রুহুল আমিন।

Print Friendly, PDF & Email