দর্শনীয় স্থান শের আলী গাজীর মাজার

জি এম নিউজ জি এম নিউজ

বাংলার প্রতিচ্ছবি

প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২ | আপডেট: ৮:৪০:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২

বাংলার নবাবী আমলে গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজী দশকাহনিয়া অঞ্চল বিজয় করে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেন। এই শের আলী গাজীর নামে দশ কাহনিয়ার নাম হয় শেরপুর। তখনও শেরপুর রাজ্যের রাজধানী ছিল গড়জরিপা। বর্তমান গাজীর খামার ইউনিয়নের গিদ্দা পাড়ায় ফকির বাড়িতে শের আলী গাজীর মাজার(Sher Ali Ghazir Mazar) এবং নকলা উপজেলার রুনী গাঁয়ে গাজীর দরগাহ অবস্থিত। ব্রিটিশ আমলে এবং পাকিস্তান আমলে নাম হয় শেরপুর সার্কেল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেরপুরকে ৬১তম জেলা ঘোষণা করা হলেও তা স্থগিত হয়ে যায়। ১৯৭৯ সালে শেরপুরকে মহকুমা এবং ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নীত করে জেলার ৫টি থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। জমিদারি আমলে ১৮৬৯ সালে শেরপুর পৌরসভা স্থাপিত হয়।

প্রতিবছর ১ ফাল্গুন শের আলী গাজীর মাজারে বার্ষিক ওরশ অনুষ্ঠিত হয় এবং মাজার প্রাঙ্গনে জমজমাট গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার ভক্ত ও অসংখ্য মানতকারীর মাজারে আগমন ঘটে।

কিভাবে যাবেন: ঢাকার মহাখালী থেকে ড্রিমল্যান্ড, তুরাগ, আনন্দের মতো বাসে শেরপুর যাওয়া যায়। শেরপুর থেকে সিএনজি বা অটোরিকশা নিয়ে মাজারে যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন: শেরপুরে হোটেল শাহ্‌জালাল, হোটেল আরাফাত, হোটেল অবকাশ, হোটেল আইসার ইন, কাকলি গেস্ট হাউজ, বর্ণালী গেস্ট হাউজ ও হাসেম গেস্ট হাউজ প্রভৃতি আবাসিক হোটেল রয়েছে।

কোথায় খাবেন : শেরপুরের নিউ মার্কেট এলাকায় ভালমানের খাবারের রেস্তোরাঁ রয়েছে।

শেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান : শেরপুরের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে মাইসাহেবা জামে মসজিদ, রাজার পাহাড়, পৌনে তিন আনি জমিদার বাড়ি, পানিহাটা-তারানি পাহাড় ও মধুটিলা ইকোপার্ক গজনী অবকাশ কেন্দ্র অন্যতম। ইন্টারনেট

 

Print Friendly, PDF & Email