রাজাপুরে অগ্নিকান্ডে ছয়টি বসতঘর ভস্মীভূত

প্রকাশিত: ৪:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২২ | আপডেট: ৪:০১:অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২২

ঝালকাঠির রাজাপুরে শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর সাউথপুর গ্রামে অগ্নিকান্ডে ছয়টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মো. আহসান কবিরের ছেলে মাদকাসক্ত মো.বাপ্পি হাওলাদার (৩০) অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন এমন সন্দেহে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিয়েছে।
সাবেক ইউপি সদস্য মো. আহসান কবির, রাজাপুর সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আতিকুর রহমান ফারুক, প্রয়াত আলম হাওলাদার ও তার ভাই টিপু হাওলাদার, জেসমিন বেগম এবং কামরুজ্জামান শিমুল’র পরিবার অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, একই বাড়ির আহসান কবিরের মেঝ ছেলে বাপ্পি একজন মাদকসেবী। মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই ঘরের মধ্যে ভাংচুর করতো। এলাকাবাসির চাপে তাকে সুস্থ্য করতে একাধিকবার রিহ্যাব ও জেলহাজতে রাখতে বাধ্য হয় বাপ্পির পরিবার। মা নেহার কবির এর অনুরোধে কয়েকমাস পূর্বে বাপ্পিকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়। শুক্রবার বিকালে বাপ্পি তার পরিবারের কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা দাবী করে। টাকা না পেয়ে বাপ্পি তার বাবার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তাদের বসতঘর সহ ছয়টি ঘর পুরে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে রাজাপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনা স্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই ৬টি বসতঘর সহ সমস্ত মালামাল আগুনে পুরে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও সমস্ত মালামাল পুরে ছাই হয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আতিকুর রহমান ফারুক ও দুবাই প্রবাসী শামিমের স্ত্রী নিলা বেগম জানান, বাপ্পি মাদকের টাকার জন্য নিজেদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুনে আমাদের ৬টি বসতঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এর আগেও বাপ্পি মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে নিজেদের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। তবে অভিযুক্ত বাপ্পি বাবা আহসান কবির কোন মন্তব্য করেনি।
রাজাপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশন অফিসার আব্দুল খালেক বলেন, ক্ষতির পরিমান ও আগুনের কারণ এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো হবে। রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। তবে কারো কাছ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।

Print Friendly, PDF & Email