নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগামহীন দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বরিশালে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ জি এম নিউজ জি এম নিউজ বাংলার প্রতিচ্ছবি প্রকাশিত: ৪:০৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২২ | আপডেট: ৪:০৯:অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২২ ভোজ্যতেল- চাল-ডাল-সিলিন্ডার গ্যাস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগামহীন দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত আজ ২ মার্চ (বুধবার) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা দেশব্যাপী পানি গ্যাস বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পায়তারা সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডিসি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। জেলা আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সাকিবুল ইসলাম সাফিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা সদস্য সচিব আরিফুর রহমান মিরাজ, বরিশাল সদর উপজেলা সদস্য সচিব ইয়াসমিন সুলতানা, ১নং কড়াপুর ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক নুরজাহান বেগম, ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলা সভাপতি জাবের মোহাম্মদ, সহ-সভাপতি হাছিব আহমেদ, ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক জামান কবির সহ বিভিন্ন অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, “দ্রব্যমূল্যর উর্দ্ধগতিতে মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকারের মন্ত্রীরাও এখন কিছুটা নমনীয় সুরে স্বীকার করছেন যে জিনিসপত্রের দাম বেসামাল। তাঁরা সামাল দিতে পারছেন না সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে। এই সিন্ডিকেট কারা? এই সরকারই গ্যাসের দাম দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। গ্যাস যে দামে বিক্রি হয়, তাতে লোকসান হয় না। গ্যাস দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুতেও কোনো লোকসান হয় না। তবু দাম বাড়াতে হচ্ছে, তার কারণ, নিজেদের পোষ্য কিছু লোককে ব্যবসা দেওয়ার নামে তারা তেলভিত্তিক যে কুইক রেন্টাল প্রকল্পগুলো বানিয়েছিল, সেগুলোর মাধ্যমে তাদের পকেট ভরার জন্য।” তিনি বলেন, “সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও বাজারে বেশি দামে সব দ্রব্য বিক্রি করা হচ্ছে। গতকাল বরিশালে সয়াবিন তেল লিটার ২০০ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। তেলের দাম বাড়ার সম্ভাবনা অনুমান করেই বিক্রেতারা মজুদ করা শুরু করেছে। আমরা গত কর্মসূচিতে বাজার মনিটরিং এর ওপর জোরদার করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেদিকে নজর দেয় নি। তাদের কর্ণকুহরে জনগনের আওয়াজ পৌছায় না। ” ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের পকেট ভরতেই গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বর্তমান সরকার জনগণের পকেট কাটছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ক্ষমতাসীনরাই তাদের পোষ্যদের পকেট ভরতে নানান অযুহাতে দ্রব্যর দাব বাড়াচ্ছে। মন্ত্রনালয় সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যাক্তিদের বক্তব্য এটাই প্রমানিত তারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা তাদের গোষ্ঠী স্বার্থ রক্ষা করতেই সবসময় ব্যাস্ত” জেলার সদস্য সচিব আরিফুর রহমান মিরাজ বলেন, “বরিশাল নগরীর নানান জায়গার মানুষ রয়েছে যারা ঘন্টাপ্রতি মজুরিতে কাজ করেন। তাদের প্রতি ঘন্টায় ১০/১৫ টাকা পরিশোধ করা হয়৷ কিন্তু চাল ডালের দাম এত বেশি যে এসব শ্রমিকদের পক্ষে বেচে থাকা সম্ভব নয়। তাই অবিলম্বে সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম কমাতে হবে”। তিনি জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, “বরিশাল শহরে অনেক উদ্বাস্তু বসবাস করেন। খাস জমি পাওয়া তাদের অধিকার। তাই অবিলম্বে ভূমিহীনদের খাস জমি পাওয়ার বন্দোবস্ত করে দিতে হবে” আরও পড়ুন বর্তমান সরকারের আমলে দেশে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে : এমপি টিপু বিএনপি নেতা, সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ইন্তেকাল