নিরাপত্তা বলয়ে রহমতপুরে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন: নৌকার নিরঙ্কুশ জয়

আরিফ হোসেন আরিফ হোসেন

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:০০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২১ | আপডেট: ১২:০৫:পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২১

নিরাপত্তা বলয়ে রহমতপুরে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন: নৌকার নিরঙ্কুশ জয়
আরিফ হোসেন,বাবুগঞ্জ: ৩য় ধাপে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে কোন ধরনের সহিংসতা ছাড়াই বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। রহমতপুর ইউনিয়নে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মৃধা মুহঃ আক্তার-উজ-জামান মিলন। তিনি ৬৪৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রাত ৮ :৩০ টায় তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. তালুকদার মুহাম্মদ ইউনুছ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এসএম খালেদ হোসেন স্বপন ও উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলালসহ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক মোঃ শাহিন হোসেন পেয়েছেন ৩৯৩৩ ভোট।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ সরোয়ার মাহমুদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২০২৭ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মনোনীত প্রার্থী মোঃ আব্দুল হাকিম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩৭৫ ভোট, এবং ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মোস্তফা কামাল শিকদার পেয়েছেন ৫৭৫ ভোট।
রহমতপুর ইউনিয়নে মোট ২১ হাজার ৫৫৩ ভোটারের মধ্যে ১৪ হাজার ৩৯৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এরমধ্যে ৩৯টি ভোট বাতিল হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে শুরু হওয়া রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্র ও কেন্দ্রের বাইরে থেকে ৭ বহিরাগত যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে আল আমিন নামের এক যুবককে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমাপ্তি রায়’র ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা শাখা) ফরহাদ সরদার জানান, রহমতপুর ইউনিয়নের বাবুগঞ্জ সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, সিংহেরকাঠী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও রাজগুরু প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও তার আশপাশ থেকে ৬ বহিরাগত যুবককে আটক করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সহিংসতা ছাড়া একটি সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠিত হয়ায় জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
উল্লেখ্য ইউনিয়নটিতে সুষ্ঠু ও নিরাপেক্ষ ভোটের পরিবেশ তৈরির জন্য উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে মাঠে কঠোর অবস্থানে ছিলেন ৬জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্র্যাব, বিজিবি এবং বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা।

Print Friendly, PDF & Email