বাবুগঞ্জে কুপিয়ে ইমাম’র হাতের কব্জি ফেলে দেওয়ার ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ যুবক আটক আরিফ হোসেন আরিফ হোসেন বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: ২:০১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২১ | আপডেট: ৩:০১:পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২১ বাবুগঞ্জে কুপিয়ে ইমামের হাতের কব্জি ফেলে দেওয়ার ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ যুবক আটক বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি : বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ইসলামপুর বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াকুব আলী(৩৬) এর দুই হাত রাম-দা (বগা-দা) দিয়ে কুপিয়ে কেটে ফেলেছে এক যুবক। তার বাম হাতের কব্জি ফেলে দিয়েছে ও ডান হাতের কয়েকটি আঙ্গুল কেটে পরে গিয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার রাত ৭:৩০ টার দিকে (এশার আযানের আগে) মসজিদের সামনে কুপিয়ে হাত ফেলে দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা গুরুত্বর আহত অবস্থায় ইমাম ইয়াকুব আলীকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় প্রেরণ করেন। এঘটনায় বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত বাবলু ওরফে বাবু মাঝি (২৮) কে দেশীয় অস্ত্র রাম-দা সহ আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে। প্রতক্ষদর্শী সুমন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন আগে ইমাম ইয়াকুব আলীর কাছে রাত ঘুমানোর জন্য মসজিদের চাবি দাবী করে অভিযুক্ত বাবলু মাঝি। ইমাম বিষয়টি মসজিদ কমিটিকে জানালে তারা চাবি দিতে নিষেধ করে। এই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার এশার আযানের আগে মসজিদের সামনে দেশীয় অস্ত্র হাতে ইমাম ইয়াকুবের পথ রোধ করে বাবলু মাঝি ধারালো রাম-দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকলে ইমাম ইয়াকুব আলী হাতের সাহায্যে কোপ ফিরানোর চেষ্টা করে। এসময় রাম- দায়ের কোপে তার বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও ডান হাতের কয়েকটি আঙ্গুল কেটে যায়। এসময় ইমাম ইয়াকুব আলীর ডাক চিৎকার শুনে প্রতক্ষদর্শী সুমনসহ স্থানীয়রা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। আহত ইয়াকুব আলী বলেন, মসজিদে যাওয়ার পথে বাবুর সাথে আমি কুশল বিনিময় করি। তার কিছুক্ষন পর সে মসজিদের সামনে হঠাৎ ধারালো দা দিয়ে কোপাতে শুরু করে। আমার সাথে তার পূর্ব কোন বিরোধ নেই। ১০-১৫ দিন আগে বাবু আমার কাছে মসজিদে ঘুমানোর জন্য চাবি চেয়েছিলো। আমি তখন তাকে চাবি দেইনি। ইয়াকুব আলীর ভাগনে রুহুল আমিন বলেন, আশংকাজনক জনক অবস্থায় মামাকে বরিশাল শের ই বাংলা হাসপাতালে থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাবুল মাঝি একজন উগ্রবাদী লোক। সে মাঝে মাঝে এলাকা থেকে অনেক দিনের জন্য উধাও হয়ে যায় আবার ফিরে আসে। তার বাবা মৃত ফরিদ মাঝি ছিলেন সর্বহারা গ্রুপের চিহৃত সদস্য। সে কোন নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য বলে আমাদের ধারনা। বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো রাম -দা সহ অভিযুক্ত বাবলু মাঝিকে আটক করা হয়েছে। এঘটনার মুল রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে। অপরাধীকে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আরও পড়ুন মহিপুরে ভাইকে বেঁধে রেখে শিশুকে ধর্ষণ পানিতে ছুড়ে ফেলে কন্যা সন্তানকে হত্যা করলেন মা