“লেবাস সর্বস্ব ইসলামে বিশ্বাসী নই, আমরা বিশ্বাসী ইনসাফের ইসলামে” –প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোঃ শাহাদাত হোসেন মনু মোঃ শাহাদাত হোসেন মনু সিনিয়র সাংবাদিক প্রকাশিত: ৯:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২১ | আপডেট: ৯:২৫:অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মুসলিম অধ্যুষিত দেশ,এই ইসলামের চর্চা এবং মূল্যবোধের চর্চা যেন ভালোভাবে হয়, ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ যেন হয়, ইসলামের মর্মবাণীটা যেন মানুষ ভালোভাবে বুঝতে পারে সেটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। আমরা দেখেছি ধর্মের নাম দিয়ে কীভাবে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী দেখেছি। ইসলাম ধর্ম হচ্ছে সবচেয়ে সহনশীল ধর্ম। যে ধর্ম মানুষের অধিকার দেয়, মানুষকে মানুষ হিসেবে তৈরি করার শিক্ষা দেয়। সেই শিক্ষাটা যেন সবাই পায় সেটা আমরা চাই। আমি আশা করি আমাদের মডেল মসজিদের মাধ্যমে ইসলামের বাণী প্রচার হবে, ইসলামের সংস্কৃতি প্রচার হবে, ইসলামের মর্মবাণী সবাই, সব ধর্মের মানুষ উপলব্ধি করতে পারবে। সেদিকে খেয়াল রেখেই এটা আমাদের করা। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সারাদেশে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের ৫০টির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজাপুর মডেল মসজিদ উদ্বোধনে সংযুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের অনেক খেদমত করে গেছেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবং তিনিই ইসলামিক ফাউন্ডেশন তৈরি করে গিয়েছিলেন। ইসলামের প্রচার-প্রসারে বাংলাদেশও যেন ভবিষ্যতে অবদান রাখতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন করছি। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা লেবাসসর্বস্ব ইসলামে বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ্বাসী ইনসাফের ইসলামে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মের নামে মানুষ খুন করা, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা এবং মানুষকে খুন করলে নাকি বেহেশতে চলে যাবে; আমার প্রশ্ন যারা এ পর্যন্ত খুন-খারাপি করেছে তারা কে কে বেহেশতে গেছে সেটা কি কেউ বলতে পারবে? কেউ বলতে পারবে না। কিন্তু সব থেকে সর্বনাশ করেছে পবিত্র ইসলাম ধর্মের, যে ধর্ম শান্তির ধর্ম, যে ধর্ম মানুষকে অধিকার দিয়েছে। আমি মনে করি সারাবিশ্বে সব থেকে শ্রেষ্ঠ ধর্ম হচ্ছে ইসলাম ধর্ম। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো এই মুষ্টিমেয় লোক জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে, মানুষ হত্যা করে, বোমা মেরে, খুন-খারাপি করে আমাদের এই পবিত্র ধর্মের নামে বদনাম সৃষ্টি করছে। এটা আমাদের ধর্মের পবিত্রতা শুধু নষ্ট করছে না, ইমেজও নষ্ট হচ্ছে সারাবিশ্বে। ভার্চুয়ালী সংযুক্ত থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, রাজাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড্যা. খান সাইফুল্লাহ পনির, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. জিয়া হায়দার খান লিটন, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) আফরোজা আক্তার লাইজু, ্উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আলম সরফরাজসহ উপজেলার বিভিন্ন স্তরের সুধিজন ও কর্মকর্তাবৃন্দ। উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধিন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চারতলা বিশিষ্ট এ মডেল মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। এই মসজিদে ১৩টি বিশেষ সুবিধার মধ্যে মসজিদে হজ্জ যাত্রীদের প্রশিক্ষণসহ পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকবে। সুবিধাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, প্রতিবন্ধি মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরী, অটিজম কর্নার, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইসলামিক গবেষণা ও দীনি দাওয়া কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষার ব্যবস্থা, দেশি-বিদেশি ইসলাম ধর্মীয় পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা, লাশ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা, ইমামের প্রশিক্ষণ, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসের ব্যবস্থা। আরও পড়ুন একজনের আনন্দ অন্যের অসুবিধার কারন যেন না হয়— পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলা বরগুনার আমতলী উপজেলার তরমুজ চাষিদের দশ গুণের লাভের তরমুজে এখন কৃষকরা আসল নিয়ে দুচিন্তায়।