মাদারীপুরে আইন অমান্য করে চলছে ইটভাটা

নাজমুল হক নাজমুল হক

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১০:৫৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২১ | আপডেট: ১০:৫৭:অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ

মাদারীপুরে আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে ইটভাটা। নিয়ম না থাকলেও কৃষিজমি কেটে মাটি ব্যবহার করছে ভাটায়। পরিবেশ ও আইন অমান্য করে চলছে এসব ইটভাটা। আইন অনুসারে ভাটা স্থাপনে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে আইনের শর্ত পূরণ না হওয়ায় বিগত কয়েক বছর ধরে নতুন লাইসেন্স কিংবা পুরোনোগুলোর নবায়ন করছে না প্রশাসন। পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রথম শ্রেনীর পাঁচ থেকে ছয়টা ইট ভাটায় থাকলেও নেই অন্যান্য কাগজপত্র।

সরেজমিনে দেখা গেছে,মেসার্স শেফা সাজ্জাদ ব্রিকস্ (SSB) প্রোপ্রাইটর মোকতার হোসেন মাদবর, মহিষেরচর ফেরীঘাট মাদারীপুর,মেসার্স নাবিল ব্রিকস্ প্রোপ্রাইটর মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল হাওলাদার, জিয়া ব্রিকস্, গোবিন্দপুর, খোয়াজপুর, প্রোপ্রাইটর জিয়া মুন্সির ইটভাটাসহ বেশ কিছু ইটভাটা উঠেছে কৃষি জমি ও আবাসিক এলাকায়।এতে কৃষির উপর বিরূপ প্রভাব তো পড়ছেই, সঙ্গে হুমকির মুখে পরিবেশ ও প্রকৃতি। বসতি এলাকায় ইট ভাটার কারনে আশপাশের পরিবেশ হুমকির মুখে। এছাড়াও অপরিকল্পিতভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অধিকাংশ ইটভাটায় চলছে অনিয়ম। পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, গাছ, বাঁশের মুড়া।
ইট ভাটার কারণে প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। হুমকিতে পড়েছে মানুষের স্বাস্থ্য। জমির টপ-সয়েল কেটে ইট ভাটায় ব্যবহার করায় উর্বরতা হারিয়ে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে শত শত একর জমির। এ দিকে এসব ইটভাটার কারণেই আজ বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ। শহর তো দূরের কথা, গ্রামগঞ্জেও এখন আর খেজুর গাছ খুব একটা চোখে পড়ে না। এসব অবৈধ ইট ভাটার কারনে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। তাই পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে প্রশাসনের নজরদারির পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগের দাবি স্থানীয়দের।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাটার ধোঁয়া-ছাই আর যাতায়াতকারী ট্রাকের ধুলায় বায়ু দূষণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
অনিয়মকারী সকল ভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনও নিশ্চুপ বলে ধারণা এলাকাবাসীর।

জানা যায়,বেশ কিছু ইট ভাটায় কয়লা ব্যবহার হলেও খোলা জায়গায় রাখা হচ্ছে কয়লা। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না ইটভাটাগুলো।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন বলেন, আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দরকার হলে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন অমান্যকারীদের ক্ষেত্রে কোনো আপোষ নেই।

জিএম/নাজমুল

Print Friendly, PDF & Email