বীরগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে পরিবেশের ছাড়পত্র ও অনুমদন বিহিন অবৈধ ইটভাটা চলছে ম্যনেজ করে, নিরব প্রশাসন

এন.আই.মিলন- দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পরিবেশের ছাড়পত্র ও অনুমদন বিহিন অবৈধ ইটভাটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে নাম মাত্র পরিবেশের ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের আবেদন করে পরিবেশ প্রশাসনকে ম্যনেজ করে চালাচ্ছে। ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলেও আংগুল দেখিয়ে পুনরায় চালু হয়েছে ভাটা গুলি।
ইটভাটা করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর হুশিয়ারি থাকা সত্ত্বেও সরকারি আইন অমান্য করে প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়াই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় যত্রতত্র কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৫/৬টি ইউনিয়নে ৩০-৩২টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে, অধিকাংশ ইটভাটা বাজারের পাশে, বসতবাড়ীর পার্শে, বসতি লোকলয়ে এবং সরকারী ও বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি ফসলি জমি নষ্ট করে গড়ে ওঠেছে। ট্রাকটর দিয়ে কৃষি জমির টপ সয়েল (জমির উপরিভাগের মাটি) এনে ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এতে করে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এসব এলাকার উদ্ভিদ। কমে যাচ্ছে ফলন। আম লিচুর মৌসুমে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে বাগান ও গাছ মালিকেরা। এর মধ্যে অনেক ইটভাটা বিভিন্ন বাজার ও পৌর শহর সংলগ্নে অবস্থিত।
ইতি পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহ প্রশাসন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত ভাটা গুলি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলেও পরিবেশ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স এর আবেদন করেই প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে পুনরায় চালু করেছে ইটভাটা গুলি।
৪১৩ বর্গকিমি (১৫৯ বর্গমাইল) এলাকায় প্রায় ৩,১৭,২৫৩ জন রয়েছে, ইটভাটার কারনে এখানে বাড়ছে মানুষের শ্বাসকষ্টজনিত সহ বিভিন্ন নানা ধরনের রোগ।
কবিরাজহাট টু গোলাপগঞ্জ সড়কের ভোগনগর ইউনিয়নের কালীতলা এলাকায় (কে.বি.এম) কবিরাজহাট ব্রিক্স পঞ্চগড় কাজী ফার্মে কর্মরত অফিসার লাইসুর রহমান লিপু মাঝবোয়াল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালীতলা বাজার সংলগ্ন স্থানে তৈরী করে, সেখানে ফসলী জমি ও শারিশুয়া জোড়া ব্রীজ দূর্লভপুর মাঝবোয়াল মহা শ্বশান ঘাটের পাশেই শারিশুয়া ডাড়ার পাহাড়ী মাটি কেটে ইট ভাটার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। গোলাপগঞ্জ রোডের দেবীপুর এলাকায় শারিশুয়া নদীর ডাড়ার ধারে সানসাইন মডেল স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্নে জাকির হোসেন রাজার এন.জে.বি ব্রিক্স, একই রোড়ের কৈকুড়ী গ্রামে বসতী এলাকায় পাম্প মালিক রেন্টু সাহার (জে.বি.এম) জোৎ¯œা ব্রিক্স সহ ২৪/২৫ টি ইটভাটা পরিবেশের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বিহিন অবৈধ হলেও বিভিন্ন সুনাম ধন্য সড়কের ধারে অবস্থিত। যাহা বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দৈনিক বাজারের পাশে, পৌর শহরে ও তার পাশে রয়েছে। প্রতিনিয়োত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সে দিকে চলাচল করলেও দেখেও না দেখার ভান করে চলে।
এ ব্যপারে ইটভাটা সমিতির সভাপতি ইয়াকুব আলী বাবুল এর সাথে কথা হলে তিনি জানায়, ৫/৭ টি ইটভাটা সঠিক কাগজপত্র থাকলেও যে গুলি ইটভাটার ক্ষেত্রে বাধা আছে সেগুলি পরিবেশের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স এর আবেদন করা হয়েছে।
জনৈক ইটভাটা মালিক জানায়, অবৈধ হলেও ইটভাটা গুলি সরকারী রাজস্ব সবচেয়ে বেশী দিয়ে থাকে, এছাড়াও বিভিন্ন সরকারী প্রগ্রামে তারাই সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক সহযোগিতা করে। সরকারী দপ্তরের বিভিন্ন কাজে ইট দিয়ে থাকে। সকলকে ম্যানেজ করে ভাটাগুলী চলছে। সমস্যা হলে সকলের যা হবে আমাদেরো তাই হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর বা প্রশাসনের কেউ আসলেই লোক দেখানো কিছু জরিমানা করে চলে যাবে।
দিনাজপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ সামিউল আলম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায়, এ ব্যপারে আমরা পূর্বেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেছি, আগামীতেও করবো। আমাদের পর্যব্যক্ষন অব্যাহত রয়েছে। সুনিদৃষ্ট তথ্য পেলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অপর দিকে আবাদী জমি, গাছপালা রক্ষা, ছাত্র-ছাত্রী ও জনগনের স্বার্থে সু দৃষ্টি কামনা করে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক সহ উদ্ধতন কতৃপক্ষের আসু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সুধিমহল।