পানির পাইপ কাটায় দুর্ভোগে গ্রামবাসী

নাজমুল হক নাজমুল হক

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৭:৫৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২০ | আপডেট: ৮:০৮:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২০

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ

মাদারীপুর সদর উপজেলা পাঁচখোলা গ্রামে সুপেয় পানি সংকটে দুর্ভোগে পড়েছে গ্রামবাসী। অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের লোকজন পানি সরবারহ পাইপ কেটে ফেলার কারনেই এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাম বাসিকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা বাসিন্দাদের পানির সমস্যা বিবেচনা করে কয়েক বছর আগে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যায় করে গ্রামীন পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় একটি প্রকল্প গ্রহন করে গ্রামবাসীর সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়। সম্প্রতি মাদারীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট এর আওতায় এই এলাকার একটি সড়ক উন্নয়ন কাজ শুরু করে। এই উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা সড়কের পাশে মাটির গভীরে থাকা পানি সরবারহ পাইপ কেটে ফেলে। এতে করে প্রায় একমাস ধরে বন্ধ হয়ে গেছে পানি সরবারহ। নষ্ট হয়েছে সরকারের কোটি টাকার সম্পদ। সুপেয় পানির সংকটে দুর্ভোগে পড়েছে গ্রামবাসী। বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের লোকজনের সাথে আলাপ করলে তারা মামলা মোকদ্দমা ও মারধরে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে নির্মিত এই সড়কটি দুইপাশ থেকে এক ফুট করে সম্প্রসারনের কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের লোকজনের জোকশাজোসে একপাশে দুই ফুট রাস্তা সম্প্রাসারন করা হচ্ছে। এতে করে পানি সরবারহ পাইপ কেটে গেছে। এছাড়াও মানুষের ঘর বাড়িও ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। আমরা পানির কারনে দুর্ভোগে আছি। প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশলী আমাদের মারধর ও মামলা মোকাদ্দমার হুমকি দিচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই। এব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে কর্মচারীরা জানিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের বাড়ি বরিশাল। স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যাক্তির কাছের লোকজন কাজটি দেখাশোনা করে। এব্যাপরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মাদারীপুর অঞ্চলের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মো. মাহবুব হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ঠিকাদারের অবহেলায় পানি সরবারহ পাইপ নষ্ট হলে ঠিকাদার এটি মেরামত করে দিবে। না দিলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email