সাগরকন্যা কুয়াকাটাবাসী ভাসছে প্রতিশ্রুতির বন্যায়, জমে উঠেছে পৌর নিবাচন ॥
জি এম নিউজ জি এম নিউজ
নিউজ এডিটর

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ পযটন নগরী কুয়াকাটা
পৌর নিবাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই জমে উঠতে শুরু করেছে নিবার্চনের মাঠ।
দ্বিতীয় বারের মতো এ নির্বাচনে মোট ৪ জন মেয়র পদে প্রতিদন্ধিতা করছেন।
মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় সরব পুরো এলাকা। চায়ের
আড্ডায় প্রার্থীদের দোষ-গুণ নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন সাধারণ ভোটাররা। পছন্দের
প্রার্থী নিয়ে একে অপরের সাথে মাঝেমাঝে বাকযুদ্ধ ও কড়া আলোচনাও চলছে।
এছাড়াও সমর্থকরাও সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে
চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীরাও প্রতিশ্রুতির বন্যায় ভাসিয়ে
দিচ্ছেন ভোটারদের-আধুনিক পৌরসভা গড়ে তোলা ও সকল ধরনের নাগরিক
সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় বারের মতো পৌর নিবার্চনে মেয়র
প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের বর্তমান
মেয়র ও কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ: বারেক মোল্লা। স্বতন্ত্র
প্রার্থী হিসেবে জগ প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টি থেকে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগ
দেয়া মো.আনোয়ার হাওলাদার। তিনি স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী
লীগ মনোনীত প্রার্থীর সাথে ভোট যুদ্ধে লড়ছেন। আনোয়ার হাওলাদার গত
নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।।
এছাড়া হাত পাখা প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলন
বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলাম মুসুল্লী। তিনি বিগত পৌর
নির্বাচনেও পাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদন্দ্বতা করেছেন। এদিকে গত পৌর
নির্বাচনে অংশ নেয়া পৌর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল আজিজ মুসুল্লী বিএনপির
মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হিসেরে লড়ছেন। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে
থাকা বিএনপি এবারের পৌর নির্বাচনে কৌশলী হয়ে মাঠে কাজ করছেন। সাধারণ
কাউন্সিলর পদে ৩২ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮ জন উঠান বৈঠক,
চা-চক্র ও কুশালাদি বিনিময়সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে
প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনা করছেন।
কুয়াকাটা পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ পৌরসভার
প্রথম নিবার্চনের পর এটি দ্বিতীয় নির্বাচন। ৯টি ওর্য়াড নিয়ে গঠিত এ
পৌরসভার আয়তন ১২.৭৫ বর্গ কিলোমিটার। মহল্লা রয়েছে ২৫ টি। মোট ভোটার
সংখ্যা ১২ হাজার। ২০১১ সালে ৩৪ নং লতাচাপলী মৌজার ১১৪০.৫৫ একর জায়গা নিয়ে
এ পৌরসভা গঠিত হয়। এরপর থেকে পৌরসভার কার্যক্রম চলছে নির্বাচিত মেয়র
দিয়ে।
ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত পাখা মার্কার প্রার্থী হাজী
নুরুল ইসলাম মুসুল্লী জানান, বিগত নিবার্চনে জনগন ব্যপক সারা দিয়েছে।
ইনশাআল্লাহ এবারও ভোটাররা আমাকে ভোট দিবে বলে আশা করেন।
স্বতন্ত্র জগ মার্কার প্রার্থী মো: আনোয়ার হাওলাদার বলেন, সুষ্ঠু
নির্বাচন হলে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। পৌরসভাকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা
সম্পন্ন পৌরসভা গড়ে তোলা হবে।
বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আব্দুল আজিজ মুসুল্লী বলেন, সুষ্ঠু
নিবাচন হলে আমার বিজয় নিশ্চিত। বিজয়ী হয়ে কুয়াকাটাকে নতুন রুপে ঢেলে
সাজানোর দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী আ: বারেক মোল্লা জানান,
আওয়ামী লীগ সরকার গ্রামকে শহরের আদলে গড়ে তুলে দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে
সমৃদ্ধশালী করাই শেখ হাসিনার লক্ষ্য। তিনি পদ্মাসেতু, পায়রা বন্দর, পায়রা
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পর্যটন নগরী কুয়াকাটাসহ বর্তমান সরকারের
দক্ষিনাঞ্চলের এই জনপদের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুর রশিদ বলেন, আগামী ২৮ ডিসেম্বর
ইভিএম পদ্ধতিতে এবারই প্রথম কুয়াকাটা পৌরসভার নিবাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পৌরসভায় মোট ভোটার ৮ হাজার ১২২ জন। নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠ করার লক্ষে
ইতোমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে এবং শতভাগ আশাবাদি যে কোন ধরনের
অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়াই নিবাচন সম্পন্ন করা যাবে বলে তিনি সাংবাদিকদের
আশাবাদ ব্যক্ত করেন।