গভীর জঙ্গলের ভূমিতে মৃত এক ‘তিমিশিশুর’

প্রকাশিত: ২:৩২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২০ | আপডেট: ২:৩৫:পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২০

অনেকসময়েই দেখা যায় সৈকতের কাছে এসে মৃত্যু হয় প্রকাণ্ড তিমিদের। তবে অ্যামাজনের গভীর জঙ্গলের ভূমিতে মৃত তিমি পাওয়া যাবে তা ভাবাটাই দুস্কর আমাদের। তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এমন ঘটনা অ্যামাজনের গহীনে আবিস্কার করেছেন ব্রাজিলের বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা। ধারণা করছেন, মায়ের সঙ্গ ছেড়ে হারিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এই তিমিটির।

সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর খবর অনুযায়ী, দশ টন ওজনের এই স্তন্যপায়িটিকে মারাজো দ্বীপ থেকে উদ্ধার করা হয়। এই দ্বীপটি অ্যামাজন নদীর মুখেই অবস্থিত। ধারণা করা হচ্ছে ঝড়ে তিমিটি এখানে এসেছে। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত করে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছেন না। কারণ অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তরই এখনো অজানা রয়েছে। কেন তিমিটি এখানে এই উপকূলীয় অঞ্চলে সাঁতার কাটতে আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সবার মধ্যে।

ব্রাজিলের পারা স্টেটের পরিবেশবাদী সংস্থা তিমির মরদেহের উপর উড়ে যাওয়া শিকারী পাখিদের দেখে তিমিটির অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে তারা। এই পাখিগুলো তিমির মরদেহ খুঁড়ে খাচ্ছিল। তিমিটি ম্যানগ্রোভ বনের যে অংশে পড়ে ছিল তা বেশ গভীরে যেকারণে উদ্ধারকারী দলের সেখানে যেতে বেশ বেগ পেতে হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন অনেকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে তিমিটির। এই তিমিটি একটি বাচ্চা তিমি। দক্ষিণে যাওয়ার সময় এটা তার মায়ের থেকে আলাদা হয়ে যায়। এই পথে আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিমিরা যাতায়াত করে।

পচন প্রক্রিয়ায় তিমিটির অনেক তথ্যই মুছে গেছে। আমরা যতটা পারছি তিমিটির ক্ষতগুলো পরীক্ষা করছি এবং আরো তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছি।

ব্রাজিলের এই সরকারি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে যে জায়গাটিতে পাওয়া গেছে সেখানেই পচনের জন্য রাখা হবে প্রাণির মরদেহটিকে।

Print Friendly, PDF & Email