
সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রী’কে ধ*র্ষ ণ ও অ’স্ত্র মা’মলার প্রধান আসামী সাইফুর রহমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রে’প্তার এড়াতে মুখের দাড়ি কে’টে ছদ্মবেশ ধারণ করে। তবুও তার শেষ রক্ষা হয়নি।
রবিবার ভোরে ভা’রতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সুনামগঞ্জ জে’লার ছাতক থা’নার সীমান্তবর্তী এলাকা খেয়াঘাট থেকে গো’পন তথ্যের ভিত্তিতে পু’লিশ তাকে গ্রে’প্তার করে। গ্রে’প্তারকৃত সাইফুর রহমান লাগঞ্জের চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছে’লে।
এদিকে, সাইফুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মহানগর পু’লিশের শাহপরাণ থা’না পু’লিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ছাতক থা’না পু’লিশ।ত’দন্ত সংশ্লিষ্ট পু’লিশের এক কর্মক’র্তা জানান, সাইফুর গ্রে’প্তার এড়াতে তার মুখের দাঁড়ি কে’টে ফেলে। সে সীমান্ত পথ ব্যবহার করে ভা’রতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গ্রে’প্তারের পর সাইফুর পু’লিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। প্রাথমিকভাবে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই স্বামী-স্ত্রী’ এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন জো’রপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আ’ট’কে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে ধ*র্ষ ণ করে তারা।
এ ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অ’জ্ঞাত আরও তিনজনকে আ’সামি করে শনিবার সকালে নগরীর শাহপরান থা’নায় মা’মলা করেছিলেন ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী।
মা’মলার আ’সামিরা হলেন- এম সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইস’লাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া আরও তিন জনকে অ’জ্ঞাত আ’সামি হিসেবে দেখানো হয়েছে।
ঘটনার পরই অ’ভিযু’ক্তদের ধরতে সাঁড়াশি অ’ভিযানে নামে পু’লিশ। শুক্রবার রাত ২টার দিকে পু’লিশ অ’ভিযু’ক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রাম’দা, একটি ছু’রি ও দুটি লোহার পাইপও উ’দ্ধার করে।
এ ঘটনায় অ’পর অ’ভিুক্ত অর্জুনকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রে’প্তার করা হয়। এই দুজন বাদে বাকি অ’প’রাধীরা শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পলাতক রয়েছে।