আশুরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে শিক্ষা দেয় : ন্যাপ

জি এম নিউজ জি এম নিউজ

বাংলার প্রতিচ্ছবি

প্রকাশিত: ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২০ | আপডেট: ৩:৫৮:অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২০

ইকবাল হাসান, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:

পবিত্র আশুরা আমাদের অন্যায়, অপকর্মের ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে শিক্ষা দেয় বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, এ দিন অন্যায়ের প্রতিবাদ ও ন্যায়ের আদর্শের জন্য আত্মত্যাগের মহিমান্বিত স্মৃতিবিজড়িত কারবালার শোকাবহ, মর্মস্পর্শী, হৃদয়বিদারক ও বিষাদময় ঘটনা সংঘটিত হয়।
শনিবার (২৯ আগস্ট) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন,ইসলামের ইতিহাসে ফজিলতময় আশুরা বিভিন্ন ঘটনাপুঞ্জে সমৃদ্ধ থাকলেও সর্বশেষে সংঘটিত কারবালা প্রান্তরে হজরত ইমাম হোসাইন (রা.)-এর শাহাদতই এ দিবসের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আশুরা দিবসে হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) কারবালায় অন্যায়, অবিচার, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ন্যায় ও সত্যের জন্য রণাঙ্গনে অকুতোভয় লড়াই করে শাহাদতবরণ করেছিলেন; কিন্তু তিনি অসত্য, অধর্ম ও অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন বাজি রেখে সপরিবারে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। ইসলামের সুমহান আদর্শকে সমুন্নত রাখার জন্য তাঁর এ বিশাল আত্মত্যাগ ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার মুসলিম উম্মাহর জন্য এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। কারবালার ঘটনা থেকে মানবগোষ্ঠীর জন্য যেসব শিক্ষা রয়েছে, তারমধ্যে প্রধান হচ্ছে হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তবু ক্ষমতার লোভে ন্যায়নীতির প্রশ্নে আপস করেন নাই।

তারা বলেন, খিলাফতকে রাজতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রে রূপান্তরে ইয়াজিদের বলপ্রয়োগে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের চক্রান্তের প্রতি আনুগত্য স্বীকার না করে তিনি প্রত্যক্ষ সংগ্রামে লিপ্ত হন। বিশ্ববাসীর কাছে তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ন্যায়ের পক্ষে প্রতিরোধ সংগ্রামের এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। কারবালা প্রান্তরে সত্য ও ন্যায়কে চির উন্নত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি সর্বোচ্চ ত্যাগের অুতুলনীয় আদর্শ স্থাপন করেছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, অন্যায়, অবিচার, অন্যায্য ও অবৈধ অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। ইসলাম আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়। মহানবী (সা.) অন্যায়কে প্রতিহত করতে নির্দেশ দিয়ে গেছেন। তাঁর উম্মত হিসেবে আমাদের কর্তব্য যেকোনো গণবিরোধী গোষ্ঠীর অনাচার আর অবৈধ ক্ষমতার দাপটে মানুষকে দমিয়ে রাখার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

তারা শহীদ হজরত ইমাম হোসেন (রা.) তাঁর পরিবারের সদস্য এবং কারবালার সব শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়, ‘ফিরে এলো আজ সেই মহররম মাহিনা/ ত্যাগ চাই, মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না।’ আশুরার চেতনা জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত হোক এবং সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার, জুলুম-নির্যাতনসহ সব অনাচার দূর হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক।

Print Friendly, PDF & Email