
তপেজ খাঁ,
দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের কারনে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিএনপির সকল পর্যায়ের কমিটি গঠন স্থগিত রেখে নেতা- কর্মীদের সাধারন মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কেন্দ্রীয় সকল নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে ২৮ মার্চ সদস্য সচিবের স্বাক্ষর ছাড়াই ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে বানিজ্যের মাধ্যমে মাদারীপুর জেলাধীন সকল থানা ও পৌরসভা কমিটি গঠন করেন ।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে নেতা-কর্মী ও সাধারন মানুষের মাঝে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। সকলের মুখে একটাই কথা যেখানে সারাদেশ করোনা আতঙ্কে রয়েছেন সেখানে কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে ত্যাগীদের বাদ দিয়ে একতরফা কমিটি গঠন করে সে শুধু তৃণমূল নেতা-কর্মীদের হতাশই করেননি, তিনি যে অসাংগঠনিক ও অযোগ্য তারও প্রমান দিয়েছেন। বিষয়টি তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন করলে কেন্দ্র থেকে ২৯.০৩.২০২০ খ্রি. মাদারীপুর জেলাধীন সকল থানা ও পৌর সভার এক তরফা কমিটি বাতিল ঘোষনা ও জেলা বিএনপির কার্যক্রম স্থগিত করলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। কেন্দ্রীয় বিএনপির এই সঠিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সদ্য কারামুক্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদাজিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারুন্যের অহংকার তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম- মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম, ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জানান সেলিম, সহ- গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন সহ বিএনপির হাই কমান্ডকে ধন্যবাদ জানান এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক নেতা বলেন অযোগ্যরা দায়িত্ব পেলে যা হয়। যেখানে সারাদেশের মানুষ রয়েছে করোনা আতঙ্কে সেখানে একটি সুবিদাধারী মহল ব্যস্ত রয়েছে কমিটি বানিজ্যে। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক বিএনপি নেতা জিএম নিউজকে বলেন, যে লোক থানা বিএনপির সভাপতি থাকা অবস্থায় ৩ বছরে কোন একটা ইউনিয়নেও যাননি সে লোক জেলা বিএনপির আহবায়ক হয় কিভাবে সেটাই আমাদের বোধগম্য নহে। আমরা এই আহবায়ক কমিটি বাতিল করে যোগ্যও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের দিয়ে মাদারীপুর জেলা কমিটি গঠন করার জন্য বিএনপির হাইকমান্ডকে সবিনয়ে অনুরোধ জানাই।
GMN / NAZMUL