
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করেছে দিয়েছে আ’দালত। এর প্রতিবাদে আগামী শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সারা দেশে বি’ক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইস’লাম আলমগীর।
এরআগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দু’র্নীতি মা’মলায় কারাব’ন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে চাওয়া জামিন আবেদনের রায় দিয়েছে আ’দালত। এ রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ায় জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে দিয়েছে আ’দালত। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাই’কোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেয়। আ’দালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে পাঠানো তার চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের (উন্নত চিকিৎসা) জন্য রাজি হননি। আ’দালতের নির্দেশ অনুযায়ী গতকাল বুধবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসা’সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
এদিকে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দু’র্নীতি মা’মলায় কারাব’ন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জামিন আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তার চিকিৎসা’সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সময় বাড়িয়ে শুনানির তারিখ পরিবর্তন করে আ’দালত। এর আগে, ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দু’র্নীতি মা’মলায় খালেদা জিয়া জামিন চেয়ে হাই’কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন আইনজীবী সগির হোসেন লিয়ন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এই মা’মলায় আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন।
২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দু’র্নীতি মা’মলায় সাত বছরের দ’ণ্ডের বি’রুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাই’কোর্ট। একইসঙ্গে অর্থদ’ণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জ’ব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মা’মলার নথি তলব করেছিলেন। এরপর ২০ জুন বিচারিক আ’দালত থেকে মা’মলার নথি হাই’কোর্টে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাই’কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আ’দালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মা’মলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদ’ণ্ড ও অর্থদ’ণ্ড দেন।