ঝালকাঠিতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে ২ কিশোরীর বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা

প্রকাশিত: ৪:২৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০ | আপডেট: ৪:২৪:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০

ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ফেরদৌসের হস্তক্ষেপে ১২ ঘন্টার ব্যবধানে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে ২ কিশোরী। তারা দু’জনেই স্কুল ছাত্রী।
জানাগেছে, সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর গ্রামের জব্বার হাওলাদারের বাড়িতে ঢাকা থেকে ১৩ বছর বয়সী ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে নিয়ে ১৭ বছর বয়সি আল আমিন পালিয়ে আসে। আল আমিনের নানা জব্বারের সহযোগিতায় গত ৮ ফেব্রæয়ারী দিবাগত রাতে ঐ বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গুনজন শুরু হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস বিষয়টি জানতে পারেন। পরে ঐ রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্যে দ্বীর্জদাশ ব্যানার্জী বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন। পরে প্রেমিক যুগলের অভিভাবকদের ডেকে বাল্যবিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা রেখে তাদেরকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন।
অপরদিকে একটি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের ১২ ঘন্টা যেতে না যেতেই ০৯ ফেব্র“য়ারী উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালিঘোনা আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম বাবুলের ছেলে শফিকুল ইসলাম (১৯) এর সাথে একই এলাকার বাসিন্দা ১৩ বছর বয়সী ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ের আয়োজন করে। তাদের বিয়ের আয়োজনের সংবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্মতা তানিয়া ফেরদৌস গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও চৌকিদারের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে স্থগিত করা হয়। সেখানেও সন্তানদের অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দিবো না মর্মে ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকগন মুচলেকা প্রদান করেন।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস জানান, বাল্য বিয়ের কারণে শিশুদের শিক্ষাজীবন বাঁধাগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে কন্যা শিশুদের উপর প্রভাবটা বেশি পরে। তাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আমাদের সর্বদা দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমি ও আমার প্রশাসন এই উপজেলায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি।

Print Friendly, PDF & Email