রাজাপুরে মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে মারধোর, বিএনপির সভাপতিসহ গ্রেফতার-২

প্রকাশিত: ৭:০৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২০ | আপডেট: ৭:০৭:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২০

এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম তালুকদার আজাদ ও তার সাথে ঐ মাদ্রাসার প্রভাষক শাহিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ।
স্থানীয়রা জানায়, মাদ্রসার একটি নিয়োগ পরীক্ষা ও ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বুধবার দুপুরে রাজাপুর কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা অলিউল­াহকে মারধর করেন আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে মাদ্রাসার শিক্ষকদের একাংশ এবং ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকমীরা। খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে এবং আবুল কালাম আজাদ ও তার সমর্থক ঐ মাদ্রাসার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক শাহিনকে গ্রেফতার করে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি ঐ মাদ্রসার ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। ৪/৫ মাস আগে সেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। সেই পদত্যাগপত্রের রেজুলেশনে স্বাক্ষর নিতে গেলে শিক্ষকরা অধ্যক্ষের সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে অধ্যক্ষের ঝামেলা হয়। আমি খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। মারধোরের ঘটনায় আমি জড়িত নই।
এ বিষয় কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা অলিউল­াহ বলেন, একটি নিয়োগ পরীক্ষায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে প্রথম হওয়া মো. হাফিজুর রহমানকে নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরীক্ষায় যুবদল নেতা চমনের স্ত্রী মরিয়ম খানম যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। চমন তার স্ত্রীকে নিয়োগ দিতে চাপ দিতে থাকে। নিয়োগ ঠেতাতে না পেরে ঝালকাঠির রাজাপুর সহকারী আদালতে একটি মামলা (নং ৯২/১৯) করে। আদালত সে মামলা খারিজ করে দেয়। আজকে সকালে আবুল কালাম ও তার ভাতিজা চমন লোকজন নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে আমাকে মারধর করতে থাকে। আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে মাদ্রসার সহকারী শিক্ষক মোবাশ্বের হোসেন ও এবতোদায়ী প্রধান সাইদুর রহমান আহত হয়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর বলেন, আবুল কালামের মত একজন অভিজ্ঞ লোক এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমার মনে হয়না। তারপেরও যদি সে এ ঘটনায় জড়িত থাকে, তাহলে আমি এই ঘটনার নিন্দা জানাই।
রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে মারধরের সত্যতা পাওয়া গেছে। অধ্যক্ষ বাদি হয়ে যুবদল নেতা নাজমুল হুদা চমন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম, উপধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম ও প্রভাষক শাহিন হাওলাদারের নাম উলে­খ করে ৪/৫জন অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email