
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি। এরপর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন তিনি।
শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে স্লোগানে স্লোগানে তাকে স্বাগত জানায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শেখ হাসিনার আগমন-শুভেচ্ছা স্বাগতম’ স্লোগান দিয়ে পুর্নমিলনীর প্রধান অতিথিকে বরণ করা হয়। পরে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করা হয়।
ব্যাজ ও উত্তোরীয় পরিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিকে বরণ করেন ছাত্রলীগের নেতারা। পরে দেশাত্মবোধক গানের গান বাজানো হয় অনুষ্ঠানে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী ঘিরে সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল সহকারে তারা যোগ দেন অনুষ্ঠানে। দুপুরের আগেই ভরে যায় অনুষ্ঠানস্থল। নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হয়েছেন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় জন্ম হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন এই ছাত্র সংগঠনটির ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্যভাবে পালন করতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমদিন শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সকল সাংগঠনিক কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল সাতটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং আটটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কাটা হয়।
এছাড়া সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাশে বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হবে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং বিকাল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতার সামনে দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।
ঢাকাটাইমস