ঝালকাঠিতে পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোরাই যন্ত্রাংশ উদ্ধার
মোঃ শাহাদাত হোসেন মনু মোঃ শাহাদাত হোসেন মনু
সিনিয়র সাংবাদিক

ঝালকাঠির পশ্চিম চাঁদকাঠি এলাকার মুজিব সড়কের একটি বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন গাড়ির বিপুল পরিমাণ চোরাই যন্ত্রাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চোরাই সিন্ডিকেটের মূল হোতা আলম হোসেন পলাতক থাকায় পুলিশ তাকে খুঁজছে। তার সহযোগী চামটা গ্রামের আল আমিন হাওলাদার, পোনাবালিয়ার ফেরদৌস খান ও কলেজ সড়কের আহাদুল ফকিরকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এমএম মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান,পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তাহের মিয়া, পরিদর্শক (অপারেশন) মুরাদ আলীসহ ডিবি ও পুলিশের একটি টিম এতে সহায়তা করে। টিএন্ডটি সড়কের জনৈক সৌদি প্রবাসী এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নিয়ে আলম এসব চোরাই যন্ত্রাংশের গুদাম গড়ে তোলে। দীর্ঘদিন সে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে এসব চুরি করা গাড়ি কিনে যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে আসছে বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার অশ্রয় নিয়ে ঝালকাঠি থেকে চুরি হওয়া অটো রিক্সার একই নম্বরে একাধিক অটো চলাচল করছে। ঝালকাঠি জেলা অটো রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আবু সাইদ খান জানান, ঝালকাঠি থেকে এপর্যন্ত শতাধিক অটো রিকশা চুরি হয়েছে। পুলিশের সহায়তায় কিছু অটো উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার না হওয়া অপর অটো গুলোর বিষয়ে এই সিন্ডিকেটের নায়ক আলম হোসেনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানান তিনি।
উদ্ধার করা যন্ত্রাশের বিষয়ে ঝালকাঠি থানায় দায়ের করা চুরি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. ফারুক মৃধা জানান, আল আমিনকে গ্রেফতার করে এই মামলায় আসমী করা হয়েছে। এছাড়া আটককৃত ফেরদৌস খান ও আহাদুল ফকিরকে সন্দেহজনক আসামী হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাড়ির ভাড়াটিয়া আলম হোসেন পলাতক।