রোহিঙ্গা ও ইয়াবা ঠেকাতে তৎপরতা বাড়ানো হবে: বিজিবির মহাপরিচালক
জি এম নিউজ জি এম নিউজ
বাংলার প্রতিচ্ছবি

মিয়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষা কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে রোহিঙ্গা ও ইয়াবার চালান ঠেকাতে তৎপরতা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি সীমান্তে সুরক্ষায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় জলপথে নৌযান বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে বিজিবির বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দুপুরে সেন্টমার্টিন বিওপির জন্য নির্ধারণকৃত জমি পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম হেলিকপ্টার যোগে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ফরওর্য়াড বেইজ সেন্টমার্টিনে পৌঁছেন। সেখান থেকে তিনি মোটর সাইকেলে চেপে বিজিবির বিভিন্ন সীমান্ত চৌকি পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার রামু সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মাইন উদ্দিন চৌধুরী, বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ান কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুল রহমান, সেক্টর কমান্ডার মনজরুল হাসান খান, টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান, অপারেশন অফিসার মেজর রুবায়াৎ কবীরসহ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সেন্টমার্টিনকে মিয়ানমারের অংশ দাবি করা নিয়ে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, হয়তোবা মিয়ানমার অজ্ঞাত বসত এটি বলছে। আন্তর্জাতিক সীমানারেখা অনুযায়ী সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের। খুব কম সীমান্তের সু-রক্ষায় বিজিবি সেন্টমার্টিনে টহল জোরদার করবে। সে লক্ষে কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের সড়কের কাজ চলছে। সীমান্ত দিয়ে কোন রোহিঙ্গা ঢুকতে দেওয়া হবে না। এছাড়া বিজিবির তৎপরতায় অনেকটা চোরাচালাসহ বিভিন্ন অপরাধ কমে এসেছে।
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীরা ইয়াবা ব্যবসায় সঙ্গে জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক জানান, মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা ভাসছে, এতে বুঝা যায় সেদেশর সীমান্তরক্ষী ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নই। তারাও চেষ্টা করছে সেদেশে ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করতে।
তিন দাবি করেন, নাফনদী দিয়ে ইয়াবা পাচার রোধে অনেক সফলতা পেয়েছে বিজিবি। ইয়াবা পাচার কমে এসেছে। আগের তুলনায় ইয়াবা পাচার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পাশাপাশি ইয়াবার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্প্রতি সময়ে উচ্চ পর্যায়ে এক বৈঠকে মিয়ানমার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান বলেন, প্রথমবারের মত সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিদর্শন করেছেন মহাপরিচালক। এসময় সীমান্ত নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা ও মাদক ঠেকাতে ভিবিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন এবং দ্বীপে বিজিবির প্রস্তাবিত জায়গা ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ৭ এপ্রিল থেকে সেন্টমার্টিনে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এর আগে, ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে তৎকালীন বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) মোতায়েন ছিল। দীর্ঘ ২১ বছর পর নতুন করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী মোতায়েন এবং বিওপি প্রতিষ্ঠার পর এটি বিজিবির কোন মহাপরিচালকের প্রথম সফর। এর আগে দ্বীপটিতে বিজিবি সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকলেও কোস্টগার্ড নিয়োজিত করার পর বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছিল।