পুত্র হত্যার মামলা তুলে নিতে পিতাকে পুলিশ কর্তার হুমকি
মোঃ শাহাদাত হোসেন মনু মোঃ শাহাদাত হোসেন মনু
সিনিয়র সাংবাদিক

রাজাপুরের কলেজ ছাত্রকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যার মামলা তুলে নিতে ঢাকা মেট্রো-পলিটন পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খন্দকার মোঃ আরাফাত লেলিন মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যা মামলার বাদী ও নিহত কলেজ ছাত্রের পিতা মোঃ আব্দুলাহ আল মাহবুব এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি জানান, চলতি বছরের গত ২৫ মার্চ রাতে তার পুত্র মোঃ মেহেদি হাসান শুভকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হাত-পা কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। ঐ হত্যার ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ২৮ মার্চ ২১ জনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-২৬) দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই আরাফাত লেলিনের সহযোগিতা ও প্রশ্রয়ে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। আরাফাত লেলিন তার মতার অপব্যবহার করে তিন মাস পূর্বে তার নিকট আত্মীয় ও হত্যা মামলার সাত নম্বর আসামি মোঃ হেলাল ফকিরকে তার (লেলিন) বাবা মোঃ খন্দকার শফিউল আলম এর ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার নিয়োগ করেন। ঘটনাটি রাজাপুর থানা পুলিশের নজরে আসে এবং ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় রাজাপুর উপজেলার সদরের মেডিকেল মোড় এলাকা থেকে হেলালকে ঐ গাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় আরাফাত লেলিন এর বাবা খন্দকার শফিউল আলম ঐ গাড়িতে ছিলেন। হেলালকে গ্রেফতারের পর খন্দকার শফিউল আলম ঘটনাটি তার ছেলে লেলিনকে জানায়। লেলিন ঘটনা শুনে মোবাইল ফোনে মামলার বাদী মোঃ আব্দুলাহ আল মাহবুবকে গালগালি সহ মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। অন্যথায় মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করবে বলেও হুমকি দেয়। সোমবার সকাল ১০টায় রাজাপুর প্রেসকাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী মোঃ আব্দুলাহ আল মাহবুব এসব অভিযোগ করেন।
মোঃ আব্দুলাহ আল মাহবুব উপজেলার বড়ইয়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিম হাওলাদারের পুত্র। তিনি আরো জানান, আরাফাত লেলিন এর মিথ্যা মামলার ভয়ে সে এখন আতংক গ্রস্ত সহ নির্ভয়ে মামলা চালিয়ে যেতে পারবে কিনা এ নিয়ে তিনি হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এমতাবস্থায় এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে তদন্ত সাপেে উর্ধ্বতন কর্তৃপরে আশু হস্তপে কামনা করেন।
মামলা তুলে নিতে হুমকির ব্যাপারে উপ পুলিশ কমিশনার খন্দকার মোঃ আরাফাত লেলিন এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার অবস্থান থেকে কখনই কাউকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়া সম্ভব না। আমি সরকারি চাকুরি করি। এলাকার মানুষ সহ বিভিন্ন মানুষ আমাদের কাছে আসবে। সবার কথাই আমাদের শুনতে হয়।