
যুবলীগ নেতা খালেদ হোসেন ভূঁইয়ার সাতদিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেছেন আ’দালত। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আ’দালতে তুলে অ’স্ত্র ও মা’দকের পৃথক দুই মা’মলায় সাতদিন করে ১৪ দিনের রি’মান্ড চেয়ে আবেদন করেন মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মক’র্তা গুলশান থা’নার পরিদর্শক আমিনুল ইস’লাম।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা সাতদিনের রিামন্ড মঞ্জুর করেন। মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মক’র্তা আমিনুল ইস’লাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গুলশান থা’না সূত্রে জানা গেছে, খালেদের বি’রুদ্ধে মা’দক, অ’স্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মা’মলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যা ‘বের পক্ষ থেকে গুলশান থা’নায় মা’মলাগুলো করা হয়।
এর আগে আ’ট’ক খালেদকে পু’লিশের হাতে তুলে দেয় র্যা ব। গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে আ’ট’ক করা হয়। র্যায়ব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম জাগো নিউজকে বলেন, আ’ট’ক খালেদকে র্যারব-৩ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গুলশান থা’নায় হস্তান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, ক্যাসিনো ও মা’দক ব্যবসা নিয়ে আ’ট’ক খালেদকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। তার বি’রুদ্ধে অ’স্ত্র আইনে গুলশান থা’নায় ও মা’দক আইনে মতিঝিল থা’নায় পৃথক দুটি মা’মলার প্রস্তুতি চলছে। র্যা ‘ব বাদী হয়ে তার বি’রুদ্ধে এ দুটি মা’মলা করবে বলেও জানান তিনি। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে অ’বৈধ অ’স্ত্র, মা’দক ও ক্যাসিনো চালানোর অ’ভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অ’স্ত্রসহ আ’ট’ক করে র্যাা’ব। আ’ট’কের পর তাকে র্যা ব-৩ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রে*ফতারের সময় খালেদের বাসা থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, লকার থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার বেশ কয়েকটি বান্ডিল উ’দ্ধার করা হয়। সেগুলো গণনার পর ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া ডলারেরও বান্ডিল পাওয়া যায়। টাকায় তা ৫-৬ লাখ টাকা হবে বলে জানায় র্যাটব। এছাড়া তার কাছ থেকে মোট ৩টি অ’স্ত্র উ’দ্ধার করা হয়। যার একটি লাইসেন্সবিহীন, অ’পর দুটি লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ করে রাখা হয়েছিল।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে মতিঝিলের ক্যাসিনো পরিচালনার বিষয়টি মতিঝিল থা’না পু’লিশ, মতিঝিল জোন, পু’লিশ সদর দফতর ও ডিএমপি সদর দফতরের কর্মক’র্তারা জানতেন বলে দাবি করেন খালেদ। তবে পু’লিশের সঙ্গে ক্যাসিনো পরিচালনার জন্য কোনো আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলেননি তিনি। সূত্র জানায়, খালেদের ক্যাসিনোর বিষয়ে পু’লিশ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সংস্থা এবং রাজনীতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জানতেন। তাদের ‘ম্যানেজ করে’ ক্যাসিনো চালাতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তিনি।