
টাঙ্গাইলে টয়লেট থেকে এক নবজাতকের ম’রদেহ উ’দ্ধার করেছে পু’লিশ। শনিবার রাতে সখীপুর পৌরসভা’র ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সৌখিন মোড় এলাকার এক বাসার টয়লেট থেকে ওই ম’রদেহ উ’দ্ধার হয়।
এ ঘটনায় নবজাতকের মা আর্জিনা বেগমকে (৩০) গ্রে*ফতার করা হয়েছে। নবজাতকের ম’রদেহ ময়নাত’দন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতা*লে পাঠানো হয়েছে।
পু’লিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর আগে সখীপুর উপজে’লার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের শোলাপ্রতিমা গ্রামের আলমের সঙ্গে সখীপুর পৌরসভা’র ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সৌখিন মোড় এলাকার আজাহার উদ্দিনের মে’য়ে আর্জিনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৫ বছর বয়সী আসিফ নামে এক পুত্র সন্তানও রয়েছে।
কিন্তু বছর তিনেক আগে দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলী হোসেনের ছে’লে আজগর আলীর সঙ্গে পর’কী’য়ায় জড়িয়ে পড়েন আর্জিনা। এ ঘটনা জানাজানি হলে আলমের সঙ্গে আর্জিনার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর ছে’লে আসিফকে নিয়ে পৌরসভা’র ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সৌখিন মোড় এলাকায় আবদুল জলিলের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন আর্জিনা।
এদিকে বিয়ে ভেঙে যাবার পর আজগর আলীর সঙ্গে অন্তরঙ্গতা আরও বাড়ে আর্জিনার। তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল আজগরের। এ নিয়ে বেশ কয়েক দফা সালিশ-বৈঠকও করেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে আর্জিনার ভাই রফিকুল ইস’লাম জানান, আর্জিনার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করত আজগর আলী। অ’নৈতিক স’ম্পর্কের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে আর্জিনা। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিয়ের দাবিতে সে আজগর আলীর বাড়িতে অবস্থান নেয়। এ সময় আজগর আলী ও তার পরিবারের লোকজন আর্জিনার ওপর ব্যাপক নি’র্যাতন চালায়।
তিনি আরও জানান, এক পর্যায়ে আর্জিনা অ’সুস্থ হয়ে পড়লে গত ৮ সেপ্টেম্বর তাকে উ’দ্ধার করে সখীপুর উপজে’লা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করি। কিছুটা সুস্থ হলে সে বাসায় ফিরে আসে। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় সে টয়লেটে গেলে গর্ভের সন্তান পড়ে যায়। আজগর আলীর নি’র্যাতনের কারণেই এ গর্ভপাত হয়েছে বলে অ’ভিযোগ করেন তিনি।
রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে সখীপুর থা’নার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল ইস’লাম জানান, নবজাতকের ম’রদেহ উ’দ্ধার করে ময়নাত’দন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতা*লের ম’র্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নবজাতকের মাকে গ্রে*ফতার করে আ’দালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।