
কি’শোররগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজে’লার বীর পাকুন্দিয়া থেকে বউকে ফেলে স্কুল পড়ুয়া ভাগ্নিকে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন আপন খালু আব্দুল হক। ঘটনার ৩ মাস পর গতকাল শনিবার রাতে ভৈরবের পঞ্চবটি এলাকার জনৈক ধন মিয়ার বাড়ি থেকে তাকে গ্রে’প্তার করে ভৈরব থা’না পু’লিশ। আ’ট’ককৃত আ. হক পাকুন্দিয়ার জামসাইদ-তাতারকান্দা এলাকার রোস্তম আলীর ছে’লে।
গা ঢাকা দেওয়ার পর অ’ভিযুক্তের স্ত্রী’ সুরমা বেগম কি’শোরগঞ্জ বিচারিক আ’দালতে অ’পহ’রণ করে ধ’র্ষণের অ’ভিযোগ এনে স্বামীর বি’রুদ্ধে একটি অ’ভিযোগ দায়ের করেন। পরে বিজ্ঞ আ’দালত আ’সামির বি’রুদ্ধে গ্রে’প্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তারই প্রেক্ষিতে তাকে দেখানো হয়।
জানা যায়, কি’শোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজে’লার জামসাইদ এলাকার সবজি বিক্রেতা আব্দুল হক গত জুনে নিজের বউকে ফেলে তার বড় বোনের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মে’য়েকে নিয়ে উধাও হন। এরপর থেকে তারা কখনো ভৈরব, কখনো রায়পুরা এলাকায় আত্মগো’পনে থেকে বিয়ে না করেই স্বামী-স্ত্রী’ পরিচয়ে বসবাস করতে থাকে। মে’য়ের মা ও খালা ভৈরবে এসে পঞ্চবটি এলাকায় মে’য়ের ছবি দেখিয়ে তার সন্ধান চাইলে ওই এলাকার ধন মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের আ’ট’ক করে পু’লিশে সোপর্দ করে।
আব্দুল হকের স্ত্রী’ জানান, গত তিন মাস যাবত তিনি আমাদের কোনো খোঁজ-খবর না নিয়ে আমা’র বোনের মে’য়েকে নিয়ে পালিয়ে আসে। আমি আমা’র স্বামীর এমন জঘন্য কর্মকা’ণ্ডে তার দৃষ্টান্তমূলক শা’স্তি দাবি করছি।
ওই মে’য়ের মা বলেন, তিনি আমা’র মে’য়েকে ফুঁসলিয়ে এনেছেন। আম’রা অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে খবর পেয়ে ভৈরবে ছুটে আসি। এসে দেখি এখানে এলাকাবাসীর হাতে তারা অসামাজিক কাজের জন্য আ’ট’ক রয়েছে। আমি তার শা’স্তি কামনা করছি।
ভৈরব থা’নার এএসআই আসাদ মিয়া জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীর জিম্মায় থাকা অবস্থায় আব্দুল হক ও মে’য়েটিকে উ’দ্ধার করে থা’নায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।