অনশনে মাস্টার্স পাস প্রতিবন্ধী

নাজমুল হক নাজমুল হক

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক

প্রকাশিত: ২:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০১৯ | আপডেট: ২:১৭:অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০১৯

চাকরী সোনার হরিন, চাকরির জন্য প্রতিনিয়ত যুদ্ধকরছে লক্ষ লক্ষ মেধাবিরা। একটি চাকরি ভবিষ্যৎ নিশ্চিত। স্কুল জিবন পেরিয়ে কলেজ এর পর সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করেও জীবন গড়ার জন্য দরকারি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেননি। শারীরিক প্রতিবন্ধি হওয়ার কারনে পদে পদে বাধা এসছে। কিন্তু তিনিও দম ছারেনি।

চাকরির জন্য বছরের পর বছর শত চেষ্টা করেও কোন কাজ হয়নি। এরই মধ্যে চাকরির বয়স ও শেষ হয়েগেছে। বুধবার কনার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফুটপাতে। হুইলচেয়ারে বিভিন্ন দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে সকাল থেকে একাই অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন।

কনা জানান, তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার বিয়াড়া গ্রামে। শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণে ছোটবেলা থেকে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারেন না। হাতের ওপর ভর দিয়ে চলতে হয় তাকে। নয় মাস বয়সে পোলিওতে আক্রান্ত হয়ে দুই পা অচল হয়ে পড়ে, হাঁটাচলার ক্ষমতা হারান কনা। এরপরও পরিবার আর নিজের ইচ্ছাশক্তির জোরে স্কুল-কলেজের গণ্ডি পার করেছেন। পাহাড় সমান বাধা পেরিয়ে শিক্ষাজীবন শেষ করেছি। অনার্সে ক্লাস হতো পাঁচ তলায়। ঘণ্টাব্যাপী হাতের ওপর ভর দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ক্লাস করতাম।

কনা জানান, তার বাবা বিছানায়। মা শিক্ষক ছিলেন। মায়ের পেনশনের টাকায় কোনোমতে সংসার চলছে। তার চাকরি না হলে পরিবার চালানো মুশকিল হয়ে পড়বে। তার চাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে নিজের জীবনের কষ্টের কথা জানানো। প্রধানমন্ত্রী চাইলে তার ইচ্ছা পূরণ হবে বলে মনে করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email