মাদারীপুরে মসজিদের ভিতর ঢুকে নামাজরত অবস্থায় একজনকে কুপিয়ে হত্যা

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় মসজিদের ভেতর জুতা রাখা নিয়ে তর্কের জের ধরে মজিবর বেপারী (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে মসজিদের ভেতরে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার মামাতো ভাইয়েরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামে তারাবির নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মজিবর বেপারী মঠবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই সময় তারাবির নামাজ পড়তে মসজিদে এসেছিলেন।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত মজিবর বেপারীর সঙ্গে একই এলাকার তার ফুফাতো ভাই জুয়েল ও মামাতো ভাই আশরাফ আলী ও লিংকন বেপারীর মধ্যে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজ পড়ার সময় মসজিদের ভেতরে জুতা রাখা নিয়ে মজিবর ও তার ছেলে রুবেল বেপারীর সঙ্গে লিংকনের কথা কাটাকাটি হয়।
পরে মজিবর তারাবির নামাজ পড়তে মসজিদে আসলে লিংকন,রুবেল, রনি,সোহেল, আলি আশরাফ,মাহাবুব,বাচ্চু বেপারীসহ আরো অনেকেই লোকজন নিয়ে মসজিদের ভেতর প্রবেশ করে। এরপর পেছন দিক থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মজিবরকে তারা এলোপাতাড়ি কোপায়।
এ সময় তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে লিংকন তার লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজৈর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মজিবর মারা যান।
নিহত মজিবরের স্ত্রী নাছিমা বেগম জানায়, জুয়েল ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে দাঁড়িয়েছিল। তাকে ভোট না দেওয়ায় আমার স্বামীকে মারার জন্য লিংকন, আশরাফ,
টিপু চেয়ারম্যান এর ভাই রনি এবং জুয়েল এর আগেও দুইবার চেষ্টা করেছে। মঙ্গলবার তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে তারা আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের গ্রামে আগে কোন মারামারি ছিলো না, টিপু চেয়ারম্যান হবার পড়েই গ্রামে একটা সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি হইছে। তিনি আরো বলেন আমার স্বামী কে যারা হত্যা করেছে তারা সবাই চেয়ারম্যান টিপুর লোক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান মিয়া। তিনি জানান, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষরা মজিবরকে মসজিদের ভেতর কুপিয়ে হত্যা করেছে।