ত্বকে তেল নিয়ে কতই না চর্চা জি এম নিউজ জি এম নিউজ বাংলার প্রতিচ্ছবি প্রকাশিত: ১০:২১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৮ | আপডেট: ১:৫১:অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২২ তেল এমন কোন বস্তু যা সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে। এটি পানির সাথে মেশে না; অথচ জৈব দ্রাবকের সাথে মিশে যায়। তেলে উচ্চমাত্রার কার্বন এবং হাইড্রোজেন রয়েছে। বিভিন্ন প্রকারের তেল, যেমন: উদ্ভিজ্জতেল, ঔষধি তেল এবং অপরিহার্য উদ্বায়ী তেল প্রদত্ত সাধারণ সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। সবধরনের তেলই আদিতে জৈব পদার্থ থেকে উৎসরিত। শীতকালে ধুলাবালি বেশি হয়, তাই চুলে ময়লাও জমে বেশি। সারা বছরের মতোই মাথার ত্বকের যত্নে এ সময়েও তেলের বিকল্প নেই। চুলে তেলের উপকার ও ব্যবহার বিষয়ে এভারগ্রিন অ্যাডামস অ্যান্ড ইভের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাহিদ আফরোজ তানির পরামর্শ জেনে লিখেছেন নাঈম সিনহা চুলের যত্নে নিয়মিত মাথার ত্বকে তেল ম্যাসাজের বিকল্প নেই। তবে অনেকেই মাথার ত্বকে তেল না দিয়ে চুলে তেল দিয়ে থাকেন। এটি একেবারেই ঠিক না। মাথার ত্বকের জন্য নিয়মিত তেল ম্যাসাজ বিশেষ উপকারী। এতে মাথার ত্বকের পাশাপাশি চুলও ভালো থাকে। চুলের গোড়া মজবুত হয়। চুলের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। চুল পড়া কমাতে শীতকালে আবহাওয়ার শুষ্কতার প্রভাব চুলে বেশি পড়ে। চুলের গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়া বেড়ে যায়। চুল পড়া রোধে নারিকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে হালকা গরম করে রাতে মাথায় দিতে পারেন। বাড়তি পুষ্টি আমণ্ড অয়েল কিংবা তিলের তেলও একসঙ্গে করে ব্যবহার করা যেতে পারে। তার সঙ্গে ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলে বাড়তি পুষ্টি জোগাবে। রুক্ষ চুলে চুলে কালার কিংবা রিবন্ডিং করার কারণে অনেক সময় চুল রুক্ষ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল কার্যকর। অলিভ অয়েল হালকা কুসুম গরম করে তার সঙ্গে ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে চুলের রুক্ষ ভাব কমে যাবে। তৈলাক্ত ত্বকেও তেল অনেকে মনে করেন তৈলাক্ত ত্বকে তেল ব্যবহার করা যাবে না। এটি পুরোপুরি ঠিক নয়। তেল ব্যবহার করার পাঁচ মিনিট পর নরম সুতির কাপড় ভিজিয়ে তেল মুছে নিতে হবে ত্বক থেকে। এরপর গোসল করলে কোনো সমস্যা হবে না। ছুটির দিনে বা রাতের দিকে তেল দিয়ে ত্বকচর্চা করতে পারেন। গরমে তেল দিয়ে বের হলে অস্বস্তি লাগতে পারে। হট অয়েল ম্যাসাজ শীতের দিনে সবচেয়ে উপকারী হট অয়েল ম্যাসাজ। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, আমণ্ড তেল বা যেকোনো চুলে লাগানোর তেল হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে লাগাতে পারেন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন কিংবা রাতে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলতে পারেন। জানা ভালো বেশি সময় চুলে তেল দিয়ে রাখলে বেশি উপকার মিলবে—এ ভাবনাও ভুল। শ্যাম্পু করার ৩০ মিনিট আগে চুলের গোড়ায় তেল দিলেই হবে। এর বেশি সময় তেল রেখে দিয়ে আসলে লাভ নেই। কেননা মাথার ত্বক এর চেয়ে বেশি তেল শোষণ করতে পারে না; বরং বেশিক্ষণ তেল দিয়ে রাখলে চুলে ময়লা এসে আটকে যাবে। চুলের গোড়া হয়ে পড়বে দুর্বল। যাদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত, তাদের চুলের গোড়ায় তেল না দিয়ে আগায় দিতে হবে। আমাদের লোমকূপ ও চুলের গোড়া থেকেও তেল বের হয়। যাকে বলা হয় সিবাম সিক্রেশন। চুল অনেক বেশি লম্বা হলে মাথার তালু থেকে বের হওয়া তেল চুলের আগা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। মাসের পর মাস এ রকম হলে চুলের আগা শুকনো হয়ে ফেটে যায়। একে বলা হয় সিপ্লট এন্ডস। যাদের ত্বক বেশি তৈলাক্ত, তাদের চুলের গোড়ায় তেল না দিয়ে আগায় দেওয়াই ভালো। আরও পড়ুন শরীরে গুরুত্বপূর্ণ যে সাত উপকার করে লেবু পানি ওজন কমাতে মেয়েরা যে খাবার খাবেন