
আহমেদ সাব্বির রোমিও :
মুন্সিগঞ্জ ও গজারিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করছেন গজারিয়া উপজেলা পরিষদের উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা। তারুণ্য দীপ্ত রেফায়েত উল্লাহ খান এক নাগারে ১০ বছর গজারিয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন । তার কর্মীরা জানান, তিনি গজারিয়াবাসীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নও করেছেন। নিজের শ্রম, মেধা ও অর্থ দিয়ে হলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। তিনি কখনোই নিজের সুখ দুঃখের কথা চিন্তা করেননি।
তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, গজারিয়ার সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। সুখে দুঃখে তাদের পাশে থেকে আজীবন সেবা করতে চাই। আমি কখনোই ক্ষমতার কাঙাল নই। সাধারণ মানুষের কাতারে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গজারিয়াকে নতুন করে সাজাতে চাই।
মো. রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা বিভিন্ন কর্মী সমাবেশ ও সাধারণ মানুষের সাথে গণসংযোগে বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গজারিয়ার মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং তা অবশ্যই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে।
তিনি বলেছেন, ১৯৭০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন। সেইবার আমরা পাশ করেছিলাম। ১৯৭৩ সালেও জাতির জনক আমাদের নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন। সেবারও আমরা নৌকা উপহার দিতে পেরেছিলাম। পরবর্তীতে এ পর্যন্ত ৭ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আমরা মাত্র ২ বার এ আসন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পেরেছি।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, গজারিয়াবাসীর প্রাণের দাবি আমাকে নৌকা প্রতীক দিলে এবং আমি প্রার্থী হলে অবশ্যই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই আসন উপহার দিতে পারবো। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে প্রার্থী হিসেবে নৌকা দেন আমি নির্বাচনে অংশ নেব, নির্বাচনে আরো বিপুল ভোটে জয়ী হবো এবং গজারিয়াবাসী সেই আশায় বুক বেঁধে জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার অপেক্ষায় আছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন চান গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সফল চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান (তোতা)। তার সমর্থকরা জানান, রাজপথের ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতা মো. রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যিনি আজীবন আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠন যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের পতাকাতলে থেকে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে মো. রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার সময়োচিত পদক্ষেপ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের পথে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ফ্লাইওভার, স্বপ্নের মেট্রো রেলের কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তা-ঘাট ও অসংখ্য সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট চালু হয়েছে। অর্থনীতি আজ বিকশিত হয়েছে। সবই সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে। তিনি বলেন মহাজোট সরকারের সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়েছে। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে যুক্ত ছিলেন তাদের কর্মের ফল হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
মো. রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা মেধা আর মননে তরুণ বয়স থেকেই সংগ্রাম করে আজ প্রতিষ্ঠিত। তিনি একজন তরুণ শিল্পপতি ও শিল্প উদ্যোক্তা। বর্তমান সময়ে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে শিল্প বাণিজ্য প্রসারে তার প্রতিষ্ঠান বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। একজন এমপি হিসেবে তিনি নির্বাচিত হলে গজারিয়া হবে ঢাকার বুকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প অঞ্চল।