
বরিশাল ॥ র্যাব-৮ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে জেএমবির সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে। শুক্রবার দুপুরে বরিশাল র্যাব-৮ এর কার্যালয় থেকে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর সদস্যরা বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নগরীর দড়গাবাড়ি রোড এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সক্রিয় সদস্য আব্দুল্লাহ আল মিরাজ ওরফে খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে সাইফুল ইসলামকে (২৫) আটক করা হয়। আটককৃত জেএমবি’র সদস্য আব্দুল্লাহ আল মিরাজ বরগুনা সদরের মনসাতলী এলাকার ইব্রাহিম খলিলের পুত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে। আটক মিরাজের কাছ থেকে একটি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, চার রাউন্ড গুলি, ১৫টি ইলেকট্রিক সার্কিট, একটি তাতাল, দুইটি হেক্সো বেড, ১৬টি জিহাদী বই, একটি সিডি, একটি টেবিল ঘড়ি, একটি মোবাইল ফোন, দুইটি জিহাদী পাসপোর্ট এবং বিভিন্ন প্রকার ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
মিরাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিসহ তার অপর সহযোগীদের আটকের জন্য র্যাবের অভিযান চলছে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মিরাজ জানায়, সে বরগুনা জেলার রফাচন্ডী মাদ্রাসা থেকে ২০০৬ সালে দাখিল পাস করেন। পরবর্তীতে মিরাজ ইলেক্ট্রনিক্সের কাজ শেখার জন্য বরগুনা সদরের জনৈক মনির হোসেনের বরগুনা টেলিকম নামের দোকানে কাজ শুরু করেন। এসময় মনিরের মাধ্যমে জসিম উদ্দিন রহমানীর বক্তব্য ও ওয়াজ শুনে জিহাদে উদ্বুদ্ধ হয় মিরাজ। মনিরের কাছে থাকা অবস্থায় তার আতিকুর রহমান ওরফে বাবু ওরফে শাওন (২৪), নাজমুল ওরফে উকিল ওরফে রেশান, তরিকুল ওরফে সাকিব ওরফে নাজমুল সাকিব, আলামিন ওরফে হাসান ওরফে আলমগীর, আল আমিন ওরফে রাজীব ওরফে আজিজুলসহ বেশ কয়েকজন সমমনা লোকের সাথে পরিচিত হয় মিরাজ।
একপর্যায়ে ২০১২ সালে জসিমউদ্দিন রহমানীর সাথে গোপন বৈঠক করার সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় মিরাজ ও মনির। জামিনে বেরিয়ে আসার পর বেশ কিছুদিন নিজ বাড়িতে অবস্থান করে। ২০১৪ সালে থেকে তার সাথে নাজমুল, তারিকুল, সবুজসহ অন্যান্যদের সাথে তার যোগাযোগ হয়। ওইসময় থেকে মিরাজ তার অপর সহযোগীদের সাথে বিভিন্নস্থানে গোপনে বৈঠক করে এবং জেএমবি কার্যক্রম তথা সশস্ত্র উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়।
নাজমুল ওরফে উকিলের নির্দেশে মিরাজ প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর নিজ বাড়ি ও দেশের বিভিন্নস্থানে গোপন অবস্থান করে। নির্দেশ পেলে মিরাজ আদেশনুযায়ী কাজ করবে বলে বরিশাল নগরীতে অবস্থান করে। এ জন্য মোবাইল ফোনে একাধিক সিমের মাধ্যমে তার সহযোগীদের সাথে মিরাজ যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল। মিরাজ সার্কিট তৈরিতে পারদর্শী বলে র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।