মায়ের কথায় আমার সন্তানকে এবরশন করে মেরে ফেলি, বাস্তব জীবন থেকে নেয়া
জি এম নিউজ জি এম নিউজ
বাংলার প্রতিচ্ছবি

- মাতৃত্ব# যাদের ধৈর্য আছে শুধু তারাই পড়বেন অন্য কেউ না।
মায়ের কথায় আমি প্রথমবারই আমার অনাগত সন্তানকে এবরশন করে মেরে ফেলি।
—–মেয়েটির কথা শুনে হা হয়ে তাকিয়ে রইলাম। পরিবারের সাথে ঘুরতে সিলেট গেছিলাম। আসার পথে ট্রেনে ঢাকা আসছিলাম। আপুটি আমার পাশের সিটেই বসে ছিলো। কেমন যেনো বিষন্নতায় ভরা তার চেহারা। কেঁদে কেঁদে চোখ মুখ লাল হয়ে গেছিলো। অনেক সাহস করে পরিচিতো হবার জন্য কথা বললাম, তার নাম অন্তরা। বেশ কিছুক্ষন কথা হবার পর সাহস করে জিগেস করেই ফেলালাম কেন কাঁদছিলো। তখন ঔ কথাটি বললো তারপর আমি জিগেস করলাম
—- আপু আপনি কেন এমন করলেন? কিছু মনে না করলে সবটা খুলে বলবেন প্লিজ!
অন্তরাঃ অামি যখন ইন্টার ২য় বর্ষে উঠলাম তখন আমার বিয়ে হয়। খুব অল্প বয়স তখন যার কারনে বিয়ে করতে চাইনি কিন্তু বাবা মা এক রকম জোড় করেই বিয়ে দিয়ে দেয়। আসলে আমার বর রিয়াদ এর অবস্থা খুব ভালো, সে দেখতেও খুব সুন্দর, মোটামুটি টাইপের ভালো ব্যবসায় আছে তার, তার মধ্যে বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান সব মিলেয়ে আমার পরিবারের পছন্দ হয় তাই তারাহুরা করেই বিয়ে দিয়ে দেয়। প্রথমে বাবা মায়ের উপর ভিষন রাগ হয়েছিলো কিন্তু বিয়ের পর রিয়াদের ভালোবাসা, ওর খেয়াল রাখা দেখে বাবা মায়ের উপর থেকে রাগ উঠে গেলো। বিশেষ করে রিয়াদের মা ওনার মত ভালো মহিলা আমি জীবনে দেখিনি। কোন মানুষ যে এত ভালো হতে পারে তা রিয়াদের মাকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।
বিয়ের পর রিয়াদের মায়ের কাছ থেকে যে ভালোবাসা, স্নেহ আর আদর পেয়েছি তা আমি নিজের মায়ের কাছ থেকে পেয়েছি বলে মনে হয়নি। জীবনে যেনো জান্নাতের সুখ অনুভব করতে লাগলাম। রিয়াদের মা কড়া করে বলে দিছে স্বামীর সাথে যা ইচ্ছা করো কিন্তু তার জন্য লেখা পড়ায় বেখেয়ালি হলে চলবে না। লেখা পড়া ঠিক ভাবে করতে হবে বলে দিলাম। দেখতে দেখতে এইচ এস সি পরীক্ষার পর অর্নাসে ভর্তি হলাম কয়েকদিন ক্লাস করার পর শরীরটা কেমন যেনো লাগতে শুরু করলো। রিয়াদ তখন ঢাকার বাইরে ছিলো, ওকে টেনশন দিতে চাইনি বলে কিছু না বলে নিজেই ডাক্তার কাছে গেলাম। ডাক্তার পরীক্ষা করে বললো আমি প্রেগনেন্ট। খবর শুনে ভিষন খুশি লাগছিলো কিন্তু সাথে কেমন যেনো অসম্ভব রকম ভয় এসে মনে ভর করলো। এতটুকু বয়সে বাচ্চা সামলাতে পারবো তো? কোন কিছু বুঝতে না পেরে আমার মাকে ফোন দিলাম।
মা আমার কনসিভ করার খবর শুনে খুব বকা দিলো। বললো নিজের প্রতি কোন কন্ট্রোল নাই, সর্তক থাকতে পারিস নি, এত ছোট বয়সে বাচ্চা হলে সালাবি কি করে, নিজের শরীরের কি হবে, লেখা পড়া, ভবিষ্যতের কি হবে আরো অনেক কিছু। মা আমাকে বললেন এ কথা তোর শ্বাশুড়ী বা বর কাউকে জানাস না এখন। পরেটা আমি দেখছি। মায়ের কথা শুনে জীবনে প্রথম ভুলের দিকে পা বাড়ালাম। পরের দিন মা ভাইয়াকে পাঠিয়ে দিলেন আমাকে নিতে আমার শ্বাশুরিকে বললেন মায়ের শরীরটা ভালো না। রিয়াদের সাথে ফোনে কথা বলে শ্বাশুড়ী মায়ের অনুমোতি নিয়ে ভাইয়ার সাথে সিলেট মানে আমাদের বাড়ি চলে আসি।
বাড়ি এসে মা নানা ভাবে বুঝিয়ে এবরশন করাতে বললেন। প্রথমে মন সায় না দিলেও পরে কেনো যেনো মায়ের কথা মেনে নিয়ে এবরশন করিয়ে ফেললাম। এটা ছিলো জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। মা বললেন রিয়াদকে এসব জানানোর কোন দরকার নাই। আমি মায়ের কথা মেনে নিলাম কিন্তু মনের মধ্যে সবসময় একটা অপরাধ আর ভয় বোধ কাজ করছিলো। তারপর খুব সুন্দর ভাবেই কেটে যায় প্রায় অনেক বছর। এর মধ্যে অর্নাস শেষ করছি আর পড়বো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি কিন্তু গত দু বছর যাবত আমরা বেবির জন্য ট্রাই করছিলাম কিন্তু কোন ভাবেই কনসিভ করছিলাম না। ডাক্তার দেখালেও ডাক্তার কোন প্রবলেম পায় না , না আমার না ওর। এরপর একজন বড় ডাক্তারের কাছে যাই তখন চেম্বারে আমার সাথে রিয়াদও ডুকে। তিনি আমায় কিছু প্রশ্ন করলেন?
ডাক্তারঃ আর কোন বেবি আছে কিনা, জন্ম নিয়ন্ত্রনের জন্য কি কি পদ্ধতি গ্রহন করেছি আর শেষ প্রশ্নটা ছিলো প্রথম বেবি এবরশন কেন আর কত দিন আগে করিয়েছেন ?
ডাক্তারের কথা শুনে আমার কলিজা শুকিয়ে গেলো। রিয়াদের দিকে তাকালাম দেখলাম সারা রাজ্যের বিষ্ময় ওর চোখে মুখে ভির করেছে। অনেক ভয় পেলেও ভাবলাম নাহ্ আর লুকোচুরি নয় এবার যা হবার সত্যি দিয়ে হবে। ডাক্তারকে বলে দিলাম পাঁচ বছর আগে। তখন ডাক্তার বললো—–
ডাক্তারঃ দেখুন আজকালকার দিনে প্রথম বেবি এবরশন না করাই ভালো। প্রথম বেবি এবরশন করানোর ফলে আপনার শরীরে হরমোনাল অনেক চেঞ্জ হয়েছে যার কারনে পরের বার মা হতে পারবেন কিনা তা সঠিক করে বলা মুষকিল। ঔষধ দিচ্ছি বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা!
এতক্ষন ডাক্তারের সাথে কথা বলার সময় রিয়াদ একটা কথাও বললো না। চুপচাপ পাথরের মত দাড়িয়ে রইলো। চেম্বার থেকে বের হয়ে বাড়ি আসার পথে সারা পথ কোন কথা বললো না। বাড়ি গিয়ে দেখি মা বাড়িতে নেই কাজের মেয়েটা বললো তার নাকি চাচাতো বোন মারা গেছে সেখানে গেছে আমরা বাড়ি আসলে আমরাও যেনো যাই সেখানে। রিয়াদ কাজের মেয়েটাকে তার বাড়ি যেতে বলে মেয়েটা চলে গেলে রিয়াদ রুমে এসে ঠাস করে আমার গালে একটা চড় মারলো। তারপর বললো
রিয়াদঃ আজ প্রায় সাত বছরের বিবাহিত জীবনে প্রথম বার তোমায় চড় মারলাম। কেন মারলে আমার বাচ্চাটাকে অন্তরা! না তুমি এটা ভেবে না আমি ভেবেছি এটা অন্য কারো বাচ্চা বা তোমার সাথে অন্য কারো সম্পর্ক ছিলো। আমি জানি তুমি এমন করবে না কিন্তু কেন আর কি কারনে পাঁচ বছর আগে তুমি আমাদের বাচ্চাটাকে পৃথিবীতে আসার আগেই মেরে ফেললে?
অন্তরাঃ আমি রিয়াদকে সবটা খুলে বললাম।
রিয়াদঃ আমার বেবি তোমার গর্ভে ছিলো সেটা তুমি আমাকে জানাওনি পর্যন্ত আবার না আমাকে না জানিয়ে আমার বাচ্চা এবরশন করার অধিকার কে দিয়েছে তোমায়? অন্তরা আমি নিজে থেকেই তখন তোমাকে বলতাম তুমি অর্নাস ৩য় বর্ষে উঠার পর বেবি নেবার কথা ভাববো কারন তখন তোমার সঠিক বয়স হবে কিন্তু ভুল বসতো যখন বেবিটা কনসিভ হয়ে গেছিলো হয়তো আল্লাহ কোন চিন্তা করেই দিছিলো। হ্যা তোমার তখন সামলাতে কষ্ট হতো কিন্তু আমি ছিলাম মা ছিলো দুজন মিলে ঠিক সব সামলে নিতাম। তুমি জানো বাবা মারা গেছে আমাদের বিয়ের ছয় মাস পর তখন বাবার খুব ইচ্ছা ছিলো নাতির মুখ দেখার কিন্তু মা তখন বাবাকে বলেছে মেয়েটার বয়স অল্প এখন বাচ্চার দায়িত্ব নেয়ার বয়স হয় নাই। আমার নিজের মা যে কিনা তোমার শ্বশুরি সে তোমাকে এত ভালোবাসতো অথচ তোমার মা কি করলো? আর তুমিই বা আমাদের ভালোবাসার কি প্রতিদান দিলা? জাস্ট গেট আউট ইন মাই হাউস। আমি তোমার মুখ আর দেখতে চাই না।
রিয়াদ তখন অনেক কান্না করলো। রিয়াদকে কি বলে বুঝাবো ভেবে পাচ্ছিলাম না! কিই বা বুঝাতাম বুঝানোর মতো কিছুতো ছিলো না। তারপর বুঝানোর বৃথা চেষ্টা কতক্ষন করলাম। কিন্তু লাভ হলো না। রিয়াদ আমার হাত ধরে বাড়ি থেকে বের করে দিলো। কোন উপায় না পেয়ে চলে এলাম সিলেট। বাড়ি এসে মাকে সব খুলে বলাতে মা উল্টা কথা বলা শুরু করলো সে নাকি রিয়াদ আর রিয়াদের মায়ের নামে নির্যাতনের মামলা করবে। মায়ের পা ধরে মাকে থামালাম। কারন একটা মিথ্যা একটা পাঁপ আমার জীবনের রঙ কেড়ে নিয়েছে আর মিথ্যা বলে পাঁপ করতে চাই না। প্রথম কদিন বাবা মা , ভাইয়া ভাবি আমার মোটামুটি খেয়াল রাখলেও ধীরে ধীরে তাদের কাছে বোঁঝা হতে শুরু করলাম। কারনে অকারনে ভাবি কথা শুনাতো , খোটা দিতো। মাস তিনের মধ্যে মাও আমাকে যা তা বলা শুরু করলো যেমন
বিয়ের পর বাপ ভাইয়ের অন্ন ধ্বংস করছি, অপয়া, আরো অনেক কথা। তখন মাকে খুব বলতে ইচ্ছা করতো তুমিতো আমার আপন মা, আর আমার সর্বনাশের জন্য তুমিই দায়ী, তাহলে তুমি এ কথা কিভাবে বলো? কিন্তু চুপ করে থাকতাম।
তিন মাসে রিয়াদকে অনেক ফোন করেছি, কথা বলেনি আমার সাথে। রিয়াদের মায়ের সাথে প্রায়ই কথা হতো তিনি আমাদের বিষয়ে জানতেন না জানতে ঝগরা হয়েছে। রিয়াদ নাকি বলছে সময় হলে বলবে। কিন্তু তিনি আমাকে ফিরে যেতে বলতেন খুব কান্না করতেন। আমার তখন নিজেকে আরো বেশি অপরাধী মনে হতো। তাই তাকে সব সত্যি বলেদি। তিনি সেদিন সবটা শুনে ফোন কেটে দেয় হয়তো আমার সাথে কথা বলার রুচি চলে গিয়েছে। সেদিন নিজেকে সব থেকে বেশ নিঃশ্ব মনে হয়েছিলো।
তার পরের দিন বিকালে একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসে ফোনটা রিসিভ করি কিন্তু কোন কথা বলার আগেই ভাবি আর মা রুমে এসে পরে, এবং আমাকে নানান রকম কথা শুনাতে থাকে তাদের কথা শুনে আমার ফোনের কথা খেয়াল ছিলো না। অনেক কান্না করলাম সেদিন সারা রাত জেগে রিয়াদ আর ওর মায়ের ছবি দেখছিলাম। রাত তিনটার দিকে সেই নাম্বারটা থেকে কল আসে। হ্যালো বলতেই বুঝে যাই রিয়াদ ফোন করেছে চার মাস পর রিয়াদের গলার আওয়াজ পেয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলাম।
রিয়াদঃ মা তোমাকে মাফ করে দিতে বলছে। তোমাকে ফিরিয়ে নিতে বলছে। তুমি আসবে?
রিয়াদের কথায় স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম রিয়াদ কাঁদছে।
অন্তরাঃ আর তুমি কি চাও?
রিয়াদঃ (এবার সে জোড়ে কান্না করে বললো ) আমি তোমাকে ছেড়ে আর থাকতে পারবো না অন্তু তোমাকে ঐ নরকে আর থাকতে দিবো না। আমি বিকালে ফোনে তোমার মা আর ভাবির সব কথা শুনছি। আমি জানিনা বাচ্চা হবে কি বা তবে এটা জানি তোমাকে ছেড়ে বাঁচা আমার পক্ষে সম্ভব বা অন্তু। চার মাস আমি কিভাবে কাটিয়েছি তা কেবল আমি জানি। আর তাছাড়া মাকে তুমি সত্যি বলার পর মা আমার উপর খুব রাগ করছে বলছে বাচ্চা একটা মেয়ে অন্যের প্রেরেনায় পরে একটা ভুল করছে আর তুই মেয়েটাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলি যতক্ষন পর্যন্ত অন্তরা বাড়ি না আসবে ততক্ষন পর্যন্ত তোর সাথে কথা বলবো না।
অন্তরাঃ আমি আসবো রিয়াদ। কাল সকালেই আসবো।
রিয়াদঃ কিন্তু তোমাকে একটা প্রমিজ করতে হবে এমন কাজ আর কখনো করবে না। আর হ্যা তোমার মাকে বলো পারতে সাধ্যে তুমি আর তার কাছে যাবে না। আই লাভ ইউ অন্তু , লাভ ইউ।
আমি কাঁদছি কিন্তু খুশিতে কাঁদছি। পরের দিন খুব সকালে বাবাকে সব খুলে বললাম আর আসার সময় মাকে শুধু একটা কথাই বলে আসলাম তোমার মত মা যেনো আল্লাহ শত্রুকেও না দেয়। কারন তুমি #মাতৃত্বের মর্ম বোঝ না।
এখন আমি রিয়াদের কাছে যাচ্ছি। আপুর সাথে আরো বেশ কিছুক্ষন কথা বলার পর ট্রেন ঢাকা আসলো। সবাই একসাথে নামলাম। অন্তরা আপুকে দেখলাম দূরে দাড়ানো একজন পুরুষ আর বোরকা পরিহিতা এক মহিলার দিকে যেতে। হয়তো তার বর আর শ্বশুড়ী। অন্তরা গিয়ে মহিলাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকলো। মহিলা অন্তরার কপালে চুমো দিয়ে পরম মমতায় তাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। আর পাশে দাড়ানো ছেলেটি মানে রিয়াদ সেও এ পর্যায় কান্না করতে করতে অন্তরাকে জড়িয়ে ধরলো। তারপর তিনজন মিলে চলে গেলো। আমি কতক্ষন তাকিয়ে ভাবলাম এমন ভালো শ্বাশুড়ী পৃথিবীতে আছে বিধায় বৌয়েরা এখনো সুন্দর ভাবে বেঁচে আছে। সুখে থাকুক অন্তরা আপু আর তার পরিবার, আল্লাহ্ তাদের ঘরে নতুন অতিথী পাঠিয়ে তাদের সকল অপূর্নতাকে পূর্ন করে দিক। অন্তরা আপুকে মাতৃত্বের সুখ দিক।
#বিঃদ্রঃ গল্পটার মূল কাহীনি মানে ৮০% কাহীনি বাস্তব জীবন থেকে নেয়া। তাই বাজে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। এখানে মাকে কোন ভাবেই ছোট করা হয়নি, কারন সব শ্বাশুড়ী যেমন এক না তেমনি সব মাও এক না। অনেক শ্বশুড়ী আছে যারা নিজের ছেলের বৌকে কলিজার মত ভালোবাসে আবার অনেক আপন মা ও আছে যারা মায়ের মূল অর্থটা ভুলে যায়। আর আপুদের বলছি নিজের দাম্পত্য জীবনের কথা নিজেদের মানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই রাখুন। সেখানে নিজের মা বা বান্ধবীকে টানবেন না। আমি এমন অনেক জায়গায় দেখেছি যে, মা বা বান্ধবীর সংসারে ভিতরে ঢোকার কারনে সম্পর্কে ফাটল ধরে। স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত বিষয় নিজেদের মাঝেই রাখুন। ভাইয়ারাও এর বিপরীত করবেন না। তবে মেয়েদের বাড়িয়ে কেন বললাম? কারন উক্ত ভুল গুলা আমরা মেয়েরাই বেশি করি। গল্পটা কেমন লাগলো জানাবেন।
ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। আল্লাহ হাফেজ।
- ফেইসবুক থেকে সংগ্রহীত