মাদারীপুরে স্ত্রী ও ভাইয়ের নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর মুখে স্বামী

”শুধু পুরুষ নির্যাতন আইন কেন নয়, সরকারের কাছে এমন লক্ষ জনতার ?

নাজমুল হক নাজমুল হক

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০১৮ | আপডেট: ১১:১৫:অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০১৮

সংবিধানে নারী-পুরুষ সমান অধিকারের কথা বলা হলেও শুধুমাত্র নারী নির্যাতনের আইন আছে। কিন্তু পুরুষ নির্যাতনের কোন আইন নেই। শুধু পুরুষ নির্যাতন আইন কেন নেই, সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন লক্ষ জনতার ?। মাদারীপুরের ডাসার থানা এলাকার নাদের হাওলাদার (শশুর বাড়ী) বাড়ীতে ডেকে নিয়ে আটকিয়ে এক যুবককে নির্মম নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে, নিজ স্ত্রী ও তার ভাইসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

 

ভূক্তভুগি ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জেলার কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম বোতলা এলাকার মৃত্যু আহমেদ হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদার প্রায় ৯ বছর আগে বিয়ে করে একই থানার ঘোসেরহাট এলাকার নাদের হাওলাদারের মেয়ে শাহিনুর বেগম(২৬)কে। তাদের ঘরে ৪ বছরের একটি ছেলেও আছে। কিছুদিন সংসার করার পর  প্রায় মনিরকে চাপ প্রয়োগ করতো বাড়ীর জায়গাজমি বিক্রি করে স্ত্রীরির বাপের বাড়ী নিয়ে আসতে।

 

তবে কিছুতেই রাজি করাতে পারছিলোনা মনিরকে। এরই প্রপেক্ষিতে গত রোববার রাতে স্ত্রীর ভাগনি জামাই খোকনকে দিয়ে শশুর নাদের হাওলাদারের বাড়ীতে ডেকে নেওয়ার পরে তিনশত টাকার ননজুডিশিয়াল একটি (ব্লাঙ্ক) স্টাম্প নিয়ে স্বাক্ষর দিতে বলে স্ত্রী শাহিনুর বেগম। স্বাক্ষর দিতে না চাইলে স্ত্রীর বড় ভাই সোহেল হাওলাদার(৩০) চাচাতো ভাই কালাম হাওলাদার(৪২) ভাগনি জামাই খোকন ঘরের ভিতর প্রবেশ করে মনিরকে প্রথমে হুমকি ধামকি এক পর্যায় রশি দিয়ে হাত বাধেঁ বেধরক মারধর শুরু করে ও বটি দিয়ে মাথার উপর কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ৤ মনিরের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তাদের সোহেল হাওলাদার বলে, মনির গলায় রশি দিতে চায় তাই এই চেচামেচি। এর বেশি কিছু নয়, আপনারা চলে যান এটা পারিবারিক ব্যাপার। স্থানীয় এক লোকের সহযোগিতায় মনির ঘরের থেকে বের হয়। পরিবার ও স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

গুরুতর আহত মনিরের মা অভিযোগ করে বলেন, আমার একটি মাত্র ছেলে, তাকে প্রায় বউ ও তার ভাই হুমকি ধামকি দিতো তাদের কথা না শুনলে আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে। এখন সত্যি সত্যি আমার ছেলেকে মেরেফেলার জন্য মাথার উপর বঠি দিয়ে কোপাইছে। আমার ছেলেকে যারা নির্মম ভাবে মারধর করেছে, আইনের মাধ্যমে তাদের বিচার চাই। এই বিচার দেখে যাতে কোন স্ত্রী আর স্বামীকে নির্যাতন করতে না পারে।

 

এব্যাপরে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নাসির উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, আমরা আগে শুনিনি তবে কিছুক্ষণ আগে আমাদের কাছে লোক আসছে। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email