নওপ্রেমিক ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে নির্মমভাবে খুন করেছে নিরীহ স্বামীকে

গাঁয় সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যের পরকীয়ার বলি

জি এম নিউজ জি এম নিউজ

বাংলার প্রতিচ্ছবি

প্রকাশিত: ৪:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০১৮ | আপডেট: ৪:০৩:অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০১৮

নওগাঁ প্রতিনিধি : এবার স্ত্রীর পরকীয়ায় খুন নহতে হয়েছে এক নিরীহ স্বামীকে। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁ সদর উপজেলাধীন কির্ত্তীপুর ইউনিয়নের সালেবাজ গ্রামে। কির্ত্তীপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য তার পরকীয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়ালে প্রেমিককে সাথে নিয়ে নির্মমভাবে খুন করেছে তার নিরীহ স্বামী গোলাম রব্বানী সুজনকে।

গত সোমবার সকালে সান্তাহার লোকে পশ্চিম কলোনী সংলগ্ন এলাকা থেকে উক্ত সুজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে অজ্ঞাত হলেও পরবর্তীতে জানা গেছে লাশটি সদর উপজেলার সলেবাজ গ্রামের পুত্র উক্ত সুজনের। তার ঘাড় পুরোপুরি মটকানো ছিল। পিঠসহ শরীরের আরও কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ব্যাপারে আদমদিঘী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

সালেবাজ গ্রামে সরেজমিন গিয়ে গ্রামবাসীর নিকট থেকে জানা গেছে গত ২০০০ সালের নভেম্বর মাসে উম্মে হাবিবা জারকা’র সাথে সুজনের বিয়ে হয়। সুজাতা নামের তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অল্প বয়সে সেই কন্যার বিয়েও দেন তারা।

কির্ত্তীপুর ইউনিয়নের বর্তমান পরিষদের ৪ ৫ ও ৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড থেকে জারকা মহিলা সদস্য নির্বাচিত হয়। পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার এক পর্যায়ে উক্ত জারকার সাথে একই ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য আতাউর রহমান বাচ্চুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের অবাধ মেলামেশা এবং আশালীন চলাফেরা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ছাড়াও এলাকায় দারুনভাবে ছড়িয়ে পড়ে। চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান বলেছেন এ ব্যপারে পরিষদে ব্যপক সমালোচনা হয়েছে। তিনিসহ সদস্যরা তাদের বহুবার সতর্ক করে দিয়েছেন। কিন্তু রাজমিস্ত্রী স্বামীর সাথে তার আর ঘরসংসার করতে মন বসে না। কাজেই সে ব্যাপারে কোন তোয়াক্কা না করে তারা তাদের অবাধ মেলামেশা অব্যাহত রাখে।এর ফলে পারিবারিকভাবে অশান্তি শুরু হয়। পুরো গ্রামবামীর গঞ্জনার গাত থেকে বাঁচতে জারকা নওগাঁ শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। স্বামীর সাথে সম্পর্ক প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে। উক্ত ইউপি মেম্বার বাচ্চু নিয়মিতক জারকার বাসায় যাতায়াত শুরু করে স্বামী স্ত্রীর মত বসবাস করতে থাকে।

এরই মধ্যে জারকা কায়দা করে তার একামাত্র সম্পত্তি সুজনের নিকট থেকে নিজের নামে লিখে নেয় এবং পরবর্তীতে সেই জমি বিক্রি করে দেয়। র্এ মধ্যে জারকা প্রথমে তার কন্যা সুজাতাকে দিয়ে স্বামী তালাক করে সান্তাহার তার ভাইয়ের বাসায় মা ও মেয়ে বসবাস করতে থাকে। পরবর্তীতে ২১ জুলাই জারকা নওগাঁ’র এক নোটারী পাবলিকের কার্যালয় থেকে স্বামী তালাক দিয়ে তার অনুলিপি জারকার বোন সদর উপজেলার উল্লাশপুর ঠিকানা ব্যবহার করে সুজনকে পাঠিয়ে দেয়।

গত ২৯ জুলাই জমি বিক্রির টাকা নেয়ার জন্য সান্তাহার ডেকে পাঠায়। আর সে ফিরে আসে নি। পরদিন ৩০ জুলাই সোমবার সকালে সান্তাহার লকো পশ্চিম কলোনীর পার্শ্বে সুজনের লাশ পাওয়া যায়। আদমদিঘী থানায় মামলা হলে পুলিশ জারকার মেয়ে সুজাতা ও তার বোন শাবানাকে আটক করেছে। জারকা ও প্রেমিক বাচ্চু মেম্বার পলাতক রয়েছে। #

Print Friendly, PDF & Email