
বরিশালে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। শুক্রবার সকালে গণসংযোগকালে এই দাবি জানান তিনি।
এদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সেনাবাহিনী মোতায়েন করলে আপত্তি নেই আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে নগরীর পলাশপুর এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে মজিবর রহমান সরোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরিশাল নগরীতে বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা বেড়েছে। তারা নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান নিয়েছে। যার কারণে ভোটের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হতে পারে। তাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন রয়েছে। কারণ সেনাবাহিনী থাকলে ভোট প্রদানে শঙ্কা দূর হবে। এছাড়াও ভোট কেন্দ্র দখল বা কারচুপি-জালিয়াতি করতে পারবে না।
তিনি জানান, তার দলের অনেক কাউন্সিলরদের নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এসবের মধ্যেও আমরা ধৈর্য ধরে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে, সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের উপর ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ শুক্রবার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মসজিদে জুমার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বরিশাল সিটি নির্বাচন কেন্দ্র করে সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ বিনষ্ট করতে এবং ভোটারদের মাঝে ভীতি ছড়াতেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি তোলা হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে নির্বাচন কমিশন যদি চায় সেনাবাহিনী প্রয়োজন আছে, তাহলে সেনাবাহিনী দিবে। তবে আমাদের নেতাকর্মীদেরও নির্দেশনা দেয়া আছে, ভোটারদের ধারে ধারে গিয়ে প্রচারণা চালানোর।
এর আগে দুপুর ১টায় নগরীর কালীবাড়ি রোডের সমাজ সেবা কার্যালয় এলাকায় গণসংযোগসহ লিফলেট করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহ। এ সময় ৩০ জুলাই নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অপর পাঁচ মেয়র প্রার্থী এবং ৯৪ জন সাধারণ ও ৩৫ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন।
আগামী ৩০ জুলাই বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হবে।