তালায় প্রাইমারী শিক্ষকদের বিল পেতে লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্য!

জি এম নিউজ জি এম নিউজ

বাংলার প্রতিচ্ছবি

প্রকাশিত: ৭:৫১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০১৮ | আপডেট: ৭:৫১:অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০১৮

সেলিম হায়দার: সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ৩৭ জন প্রাইমারী শিক্ষকের করেসপন্ডিং (উন্নীত বেতন স্কেল) ফিকসেশন জনিত কারণে শিক্ষক প্রতি ২০/২৫ হাজার টাকা করে উৎকোচ আদায় করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রাইমারী স্কুলের এক প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট চক্র প্রায় ১০ লাখ ঘুষের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাধারণ শিক্ষকদের কাছ থেকে। অথচ তালা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ অহিদুল ইসলাম বলেছেন, উন্নীত বেতন স্কেলে ফিকসেশনের কোন কার্যক্রম চলমান নেই। সকল কাগজপত্র জেলা অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে। কাগজপত্র হাতে পেলেই কার্যক্রম শুরু করা হবে। এদিকে শিক্ষকদের কাছ থেকে উক্ত ঘুষ-বাণিজ্যর ঘটনায় গোটা উপজেলা জুড়ে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমান সরকার সম্প্রতি প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার কারণে উন্নীত বেতন স্কেল বা করেসপন্ডিং স্কেল ঘোষণা করে। সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক তালা উপজেলায় ৩৭ জন প্রাইমারী শিক্ষক করেসপন্ডিং স্কেলে বেতন প্রাপ্য হন। প্রতি শিক্ষক বকেয়া বাবদ পাবেন প্রায় ২ লাখ টাকা। উক্ত উন্নীত বেতন স্কেল বা করেসপন্ডিং স্কেল দ্রুত পেতে তালা উপজেলার নুরুল্লাপুর সরকারী প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মিত্রকে মাথাপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে উৎকোচ দিতে হয়েছে।

ভূক্তভোগী একজন শিক্ষক নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, “নুরুল্লাপুর সরকারী প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মিত্র দাদা আমার কাছ থেকে ২০/২৫ হাজার টাকা ফিকসেশন বাবদ নিয়েছেন। তবে আপনারা আমার নাম পত্রিকায় লিখলে উন্নীত বেতন স্কেল তো দুরের কথা তালায় শান্তিতে চাকুরি করা সম্ভব হবে না।”
ভূক্তভোগী অন্যান্য শিক্ষকরা বলেন, প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মিত্রের নেতৃত্বে একটি ঘুষ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট রয়েছে। দীর্ঘদিন তারা শিক্ষকদের কাছ থেকে নানান অজুহাতে উৎকোচ আদায় করে থাকে।

তালা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ অহিদুল ইসলাম বলেছেন, উন্নীত বেতন স্কেলে ফিকসেশনের কোন কার্যক্রম চলমান নেই। সকল কাগজপত্র জেলা অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে। কাগজপত্র হাতে পেলেই কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে স্থানীয়ভাবে জানা যায়, উপজেলা শিক্ষা অফিস কিছু না জানলেও মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্যের হোতা প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মিত্রের নেতৃত্বে প্রায় ১০ লাখ ঘুষের টাকা আদায়সহ করেসপন্ডিং স্কেলে বকেয়া বেতন-ভাতাদি তৈরী সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে নুরুল্লাপুর সরকারী প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মিত্র তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email